সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার ও জেলা প্রশাসককে একটি উড়ো চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে কারাগার উড়িয়ে দিয়ে সাথী ভাইদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। চিঠিটি আমলে নিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
পাশাপাশি কারাগারে বন্দি ‘জঙ্গি, আইএস, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর ও বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারি’র নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশের কারাগারগুলোতে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেন আইজি প্রিজন্স। একাধিক কারা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বার্তা২৪.কম বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
চিঠিতে আইজি প্রিজন্স উল্লেখ করেন, কিছু দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি কারাগারে বন্দি জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, টেলিফোনও করেছে। কারাগার একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা নস্যাৎ করে বন্দির পলায়নসহ যে কোনো দুর্ঘটনায় কঠোর হওয়া কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধানত দায়িত্ব।
চিঠিতে আইজি প্রিজন্স ১৮টি নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কারাগারে একজন ডেপুটি জেলার, একজন প্রধান কারারক্ষী ও পাঁচজন কারারক্ষীর সমন্বয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকা। কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্বপালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট নিশ্চিত করে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা, ডিউটিতে সশস্ত্র সেন্ট্রি নিয়োগ দেওয়া, অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ মোট ১৮টি নির্দেশনা।
অন্যদিকে লালমনিরহাটের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ বলেন, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি আমাদের নিরাপত্তার একটি অংশ। ১৯০ জনের ধারণক্ষমতার এ কারাগারে এখন পর্যন্ত ৪৬৬ জন আসামি ও কয়েদি রয়েছেন। যার মধ্যে এ কারাগারে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ২০ জন রয়েছেন। কারাগারের মূল ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।