দেশজুড়ে

বোয়ালমারীতে মরিচ ক্ষেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

  প্রতিনিধি ৯ মে ২০২৪ , ৫:১৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বোয়ালমারীতে মরিচ ক্ষেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মরিচ ক্ষেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫ জন। এ নিয়ে দু’ পক্ষের লোকজন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মরিচের ক্ষেত মালিকের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকসান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৮। অপর পক্ষ আকাশের মা শিউলী বেগমও বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৯।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কুন্ডুরামদিয়া গ্রামে মো. টিটিয়ার খাঁ এর মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে এক দেড়শ মরিচ গাছ শত্রুতা করে তুলে ফেলা হয়। এ ঘটনায় সোমবার (৬ মে) কুন্ডুরামদিয়া গ্রামের টিটিয়ার খান ও একই গ্রামের নুর মোহাম্মাদের ছেলে আকাশকে তাঁর ক্ষেতের মরিচ গাছ উঠানো দায়ী করে। এ নিয়ে তাদের দু’জনের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ওই দিন রাতে দু পক্ষ হামলায় জড়িয়ে পরে।

এ ঘটনায় টিটিয়ার খাঁ ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম গুরুতর আহত হয়। অপর দিয়ে আকাশের চাচা আলিম খাঁ, ও তাঁর ছেলে ইয়াছিন এবং চাচাতো ভাই তুরাণ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। মো. টিটিয়ার খাঁ বলেন, মরিচ গাছ উঠানোর খবর পেয়ে জমিতে গিয়ে জানতে পারি ধরন্ত মরিচ গাছ আকাশ উঠিয়ে ফেলেছে। পরে তাঁর অভিভাবকের কাছে এ বিষয়ে নালিশ করার কারণে আবারও সে মরিচ গাছ নষ্ট করতে ক্ষেতে যায়। পরে আমার স্ত্রী ও ছোট ভাই নিটুল তাকে মরিচ ক্ষেত থেকে ধরে এনে দু একটা চড় থাপ্পড় মেরে ছেড়ে দেয়। পরে রাতে আকাশ, আলিম, ইয়াছিন, ও তুরাণ সহ ২০-৩০ জনের একটি দল আমার বাড়ি এসে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে চলে যায়।

নিটুলের স্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়িতে পুরুষদের উপস্থিত একেবারে কম। আমরা মহিলারা বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ ওই দিন সোমবার (৬মে) রাতে আকাশ অনেক লোকজন এনে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আমার ভাশুর ও তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনা অস্বীকার করে আলিম খাঁ বলেন, আমার ভাতিজা আকাশকে নিটুলরা চার পাঁচ জন মিলে মারধর করছে।

এসময় খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গেলে তাঁরা আমাদের উপর চড়াও হয়। তখন দু পক্ষের মারামারি হয়। আকাশের বাবা নুর মোহাম্মাদ বলেন, আমার ছেলে সন্ধ্যায় ভাটদী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময়। পথ আটকিয়ে টিটিয়ারের বাড়ির সামনে থেকে মারধর করে তারা। পরে আমাদের লোকজন গিয়ে ওদের উপর হামলা চালায়। কেননা আমার ছেলেদের ওই গ্রামে বসবাস করতে হবে। একা পেয়ে মারলে কি হয় সেটা ওদের বুঝানোর জন্য হামলা চালানো হয়েছে। এজন্য আমার ছেলে লোকজন নিয়ে ওদের হামলা করেছে। এতে আমি সন্তুষ্ট!

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, দু পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content