প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:২২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার সাবেক ওসি হিমাংশু কুমার দাশসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর কৃঞ্চ চৌধুরীকে অস্ত্র ও ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালত এ অভিযোগ দায়েরের পর আদালত তা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বাদির আইনজীবী এডভোকেট জুয়েল দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তাদের বিরুদ্ধে ১২০(খ), ১৬১, ১৬৬, ২২০, ৩০৭, ৩২৩, ৩৬৪, ৩৭৯, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৮৭, ১৪৯, ৫০৬, ২১১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামীরা হলেন বোয়ালখালী থানার তৎকালীন ওসি হিমাংশু কুমার দাশ, এসআই আতিকুল্লাহ, এসআই আরিফুর রহমান, বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম আখন্দ, এসআই আবু বকর সিদ্দিকী, এসআই রিপন চাকমা, এএস আই আলাউদ্দিন, এসআই দেলাওয়ার হোসেন, লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাশ, সঞ্জয় দাশের সহকারী সজল দাশ, বোয়ালখালী উপজেলার সরোয়াতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন চৌকিদার দিদারুল আলম। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৭ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আদালত সংলগ্ন চট্টগ্রাম নগরের জহুর হকার্স মার্কেটের সামনে থেকে সমর চৌধুরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরদিন সকালে ৩১০ পিস ইয়াবা ও একটি একনলা বন্দুক হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে সেই ছবি গণমাধ্যমে পাঠায় বোয়ালখালী থানা পুলিশ। এ সময় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে। ২৯ মে বিকেলে সমর কৃষ্ণ চৌধুরীর মেয়ে তমালিকা চৌধুরী বোয়ালখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে তার বাবাকে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। সমর কৃষ্ণ চৌধুরীর পরিবার দাবি করেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জয় দাশের সঙ্গে বিরোধের জেরে বোয়ালখালী থানা পুলিশ সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম নগর থেকে তুলে নিয়ে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ২০১৮ সালের ২৪ জুন মাদক মামলা ও ১০ জুলাই অস্ত্র মামলায় আদালত থেকে জামিন পান সমর কৃষ্ণ চৌধুরী। ১২ জুলাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। ২৮ আগস্ট জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা থেকে খালাস দেন। এই ঘটনায় চট্টগ্রামের তৎকালীন এসপি নুওে আলম মিনা একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে পুলিশের অপরাধ প্রমাণ পাওয়ায় অভিযুক্তদের ক্লোজ করা হয়েছিল।