পাবনা:
ঈশ্বরদীতে এক পুলিশ সদস্যের ট্রাঙ্ক থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) এ ঘটনায় রেলওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. নাইমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পাকশীর রেলওয়ে পুলিশের ব্যারাকে অবস্থানকালে নাইমের ট্রাঙ্ক থেকে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, গত বুধবার রাজশাহী থেকে ঢালারচর অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ২৬৪ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা ফেনসিডিলের মধ্য থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের গাড়ি থেকে গোপনে সরিয়ে নিজের ট্রাঙ্কে রাখার সময় ঘটনাটি ব্যারাকের অন্য এক কনস্টেবলের চোখে পড়ে। ঘটনাটি রেলওয়ে জেলা পাকশীর পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিনকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করেন তিনি।
ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ব্যারাকে গিয়ে কনস্টেবল নাইমের ট্রাঙ্ক থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করে।
তবে গ্রেফতার হওয়া কনস্টেবল নাইম হোসেন পুলিশ সুপারের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই ফেনসিডিল রেল থানার ওসি গোপাল কুমার দাস ও সেকেন্ড অফিসার রঞ্জন কুমার বিশ্বাসের নির্দেশে তিনি তার নিজস্ব ট্রাঙ্কের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ওসির ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে এবং সেকেন্ড অফিসার কল রিসিভ করেননি।
পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। ফলে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনও পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। পরে শুক্রবার তাকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়।