দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি সিন্ডিকেটে অসহায় যাত্রীরা

  প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২৫ , ৬:১০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি সিন্ডিকেটে অসহায় যাত্রীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে চলছে নির্দ্বিধায় সিএনজি চালকদের নিজস্ব সিন্ডিকেট। এতে করে যাত্রীরা নীরবে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

সম্প্রতি জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিমরা ব্রিজ হইতে বিজয়নগর চম্পকনগর, চান্দুরা ডাকবাংলা হইতে বিশ্বরোড থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশা সিএনজি চালকরা তাদের ইচ্ছামতে যাত্রীদের কাছ হইতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রবণতা শুরু করেছে। আগেও তাদের দৌরাত্ম ছিল কিন্তু বর্তমানে তারা অতিরিক্ত মাত্রায় চালিয়ে যাচ্ছে। মানতে হচ্ছে না কোন নিয়মকানুন। নীরব রয়েছে প্রশাসন।

সিমড়া ব্রিজ হইতে বিজয়নগর রাস্তায় কোন যানজট না থাকলেও অতিরিক্ত চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা আদায় করে আসছে বিভিন্ন বাহানায়। আবার এমন অভিযোগ রয়েছে এক স্টেশনের যাত্রী উঠিয়ে গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অর্ধাংশে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বলে সিএনজি আর যাবে না।

২৬শে সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ঘটিকায় সাংবাদিক আলমগীর হোসেন সিমড়া ব্রিজ হইতে বিজয়নগর রামপুর আসতে গেলে ভাড়া দাবি করেন ১০০ টাকা, প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন।

এমনই করে চান্দুরা থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত লোকাল বাস ভাড়া ২০ নির্ধারিত থাকলেও সিএনজি সিন্ডিকেট ধার্য করেছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা আবার যানজটের বাহানায় ১০০ টাকাও নিতে দেখা যায়। এভাবেই বিশ্বরোড হইতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেড্ডা পর্যন্ত লোকাল বাস ভাড়া ২০ টাকা থাকলেও সিএনজিস সিন্ডিকেট ভাড়া নিচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যানজট থাকলে উল্লাসে নিচ্ছেন ১০০ টাকা। বাহানায় রয়েছে গ্যাস সংকট, রাস্তা ভাঙ্গা যানজট, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এসব স্বার্থান্বেষী বাহানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও নীরবতা পালন করছে কর্তৃপক্ষরা। এতে করে কঠিন দুর্ভোগে আছে নিরীহ জনসাধারণ।

এ বিষয়ে জেলার সিএনজি স্টেশনের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টা খুবই দুঃখজনক, কিছু অসাধু ড্রাইভার এগুলা করে আসছে। আমরা সিএনজি মালিকপক্ষকে অবহিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর আমাদের প্রতিটা স্টেশনে ভাড়ার তালিকা লাগানো আছে।

এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া অন্যায়, আমরা শ্রমিক সংগঠনের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধানে আনার চেষ্টা করব।

এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধনা ত্রিপুরা জানান, সিএনজি ড্রাইভারদের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসছে, তারা এমন ধরনের আচরণ অব্যাহত রাখলে বিকল্প পরিবহনে ব্যবস্থা ছাড়া কোন উপায় দেখতেছি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টা দেখা হবে।

আরও খবর

Sponsered content