প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২০ , ৭:০৪:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
খায়রুল কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা ছাড়াই করোনা মুক্ত হওয়ার পর আইসোলেশন সেন্টার থেকে দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ছাড়পত্র পাওয়ার পর তারা নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আমোদাবাদে ও আরেকজনের বাড়ি সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে। যথাক্রমে ১০ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে ভর্তি থাকা করোনা পজিটিভ রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপসর্গ না থাকায় আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি থাকা রোগীদের কোনো ধরনের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে না। আক্রান্তদের মাধ্যমে যেন কোনোভাবে না ছড়ায় সে কারণে তাদেরকে শুধুমাত্র আলাদা থাকাটা নিশ্চিত করা হয়েছে। উপসর্গ না থাকায় অনেকে চলে যেতে চাইলেও পুনরায় পরীক্ষায় নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত আইসোলেশন সেন্টারেই তাদেরকে থাকতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা সদরের বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে প্রথমে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে ১৯ জনকে ওই হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। প্রথমবারের মতো রবিবার বিকেলে দুজন এখান থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পান। এর আগে তাদের পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা ফলাফলে করোনা নেগেটিভ আসে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য একমাসের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া আছে। এর মধ্যে ১৮ জন চিকিৎসক ও ১৫ জনের মতো নার্স পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া দুজন এলএমএসএস ও দুইজন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়মিত কাজ করেন। এ সেন্টারের জন্য দুইজন পাঁচক রয়েছে। যারা অবশ্য সেন্টারের বাইরে রান্নার কাজ করেন। এখানে ভর্তিকৃতরা সরকারিভাবেই বরাদ্দ করা খাবার পান।
আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি থাকা একজন জানান, তার পরিবারের এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলে পরিবারের অনেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে চারজনের করোনা পজেটিভ আসে। সবাই এখন আইসোলেশনে আছেন। কিন্তু তাদের কারো কোনো ধরনের উপসর্গ নেই। এখানে থাকা আরো অনেকেরই উপসর্গ নেই বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভর্তি থাকা রোগী জানান, উপসর্গ না থাকায় তাদের কোনো ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। নার্সরা সময় মতো এসে হ্যান্ড মাইকে ডেকে খাবার দিয়ে যান। খাবার দেওয়ার আগে সবাইকে যার যার ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়। চিকিৎসা কিংবা নার্সদেরকে এখনো তাদের খুব সামনে আসার প্রয়োজন হয় নি কিংবা তারা কেউ খুব সামনে আসেননি।
আইসোলেশন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা ডা. এশরামুল রেজা বলেন, ‘দুজনের করোনা নেগেটিভ আসায় রবিবার বিকেলে বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আরো যারা ভর্তি আছেন তাদের কারো কোন ধরনের উপসর্গ নেই বলে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে না। আক্রান্তরা যেন কোনোভাবে করোনা ছড়াতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।’