প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৫:৩১:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মাহমুদ হাছান ফোটনের কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিদ্ব›দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফখরুল মান্নান মুক্তুর কর্মীদের দায়ী করেছেন তিনি।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে চালাকচর ব্যাপারীপাড়া এলাকায় গণসংযোগ চলার সময় এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, তামাককান্দা গ্রামের নূরুল ইসলাম, হাফিজপুর গ্রামের হিরন মিয়া এবং সবুজ মিয়া।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোহরদী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নসহ ৯টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে।
মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নূরুল ইসলাম বলেন, ‘লিফলেট বিতরণের সময় নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছেন। তাদের লাঠির আঘাতে আমার হাত ভেঙে গেছে।’
আহত হিরন মিয়া বলেন, ‘আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। পরে আমার হাটু এবং পিঠে রড দিয়ে বেদম মারপিট করে। অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আমার মোটরসাইকেলও ভেঙে ফেলা হয়েছে।’
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মাহমুদ হাছান ফোটন বলেন ‘প্রার্থী হওয়ার পর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারপরও নির্বাচনী মাঠে থাকায় আমার গণসংযোগে অতর্কিত হামলা করা হয়। বুধবার চালাকচর ব্যাপারীপাড়ায় গণসংযোগ চলার সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা করেছেন।’
তবে নৌকার প্রার্থী ফখরুল মান্নান মুক্তু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমার কোনো কর্মী হামলার সঙ্গে জড়িত নন। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছেন। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘ নৌকা এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তবে মারামারির বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’