দেশজুড়ে

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পঞ্চায়েতের বাদ

  প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২৪ , ৮:০৯:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পঞ্চায়েতের বাদ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৯ নং আমতৈল ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামে দোকান কোটা দখল করতে না পেরে এক পরিবারকে মসজিদের মাইক দিয়ে সামাজিক ভাবে এক ঘরে (পঞ্চায়েত বাদ) রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সামজিক ভাবে একঘরে করার পর তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছেনা।

গত ১৭ মে সদর উপজেলার আটগাঁও জামে মসজিদ থেকে একি পঞ্চাযেতের লোক মো: আনকার মিয়া (৩০) এর পরিবারের উপর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষনার পর থেকে বিষয়টি কার্যকর করার জন্য তাদের কৃষি ও বিভিন্ন ফসলাদির ভূমিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। যার ফলে তাদের অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

একদিকে যেমন তাদের পরিবার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, অন্যদিকে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন। তাদের মালিকানাধীন ভূমির বর্গা চার্ষীদেরে কৃষি ও ফসলাদি ফলন করতে নিষেধ প্রদান করেছে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত কুতুব মিয়া, জিলা মিয়া ও ছালিক মিয়া গংরা একজোট হয়ে মো: আনকার মিয়ার মালিকানাধীন আলহাজ্ব মোঃ তবারক মিয়া মার্কেটের পূর্ব পাশের ১টি দোকান তারা দোকানের ভাড়াটিয়াদের নিকট হইতে চাবি নিয়ে দোকানটি ভালাবদ্ধ করে দেয়।

গত ৪ মে বিগত দুপুর আটগাঁও আলহাজ্ব মো. তবারক মিয়া মার্কেট এর পশ্চিম পাশে মুদি দোকানের ভিতর কুতুব মিয়া, জিলা মিয়া ও ছালিক মিয়া গংরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে হামলা করে। এতে দোকানের বিভিন্ন পন্যসামগ্রী সহ মূল্যবান জিনিষপত্র ক্ষতি সাধন করে এবং প্রাণে হত্যার চেষ্টো করে।

এ ঘটনায় দোকানে বসা কিশোর বালক সহ ৫/৬ জন আহত হন। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা নং-০৫, তাং- ০৬/০৫/২০২৪ইং দায়ের করা হয়। আবারও গত ৩১ মে জুম্মার নামাজের পর কুতুব মিয়া, জিলা মিয়া ও ছালিক মিয়া গংরা একত্রিত হয়ে মালিকানাধীন আলহাজ্ব মো. তবারক মিয়া মার্কেটের পূর্ব পাশের দোকান কোটাটি ভাঙ্গার চেষ্টা করে।

উক্ত জমি সংক্রান্ত আদালতে বিচারাধীন থাকাবস্থায় উপরোক্ত ব্যাক্তিরা বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সদস্যগনকে বিভিন্ন অশ্লীল গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করেন। । বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলা চলমান অবস্থায় সর্বশেষ ২৯ জুন উল্লেখিত আবারও ব্যবসা প্রতিষ্টান ও মালিকানাধীন ভূমির সামনে অবৈধ ভাবে একটি সীমানা পিলার স্থাপন করেন।

এব্যাপারে ভোক্তভোগী পরিবার ৫ জুন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে ৩০ জুন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করেছেন। বর্তমানে ভোক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

আরও খবর

Sponsered content