প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২১ , ৬:৫৯:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
স্বর্ণালি মুকুল শেষে প্রতিটি গাছে গাছে এখন আমের গুটি দৃশ্যমান। প্রকৃতি অনুকূল হওয়ায় এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আম চাষীরা। এ বছর মৌসুমের প্রথম থেকেই আবহাওয়া ভালো। নেই তেমন ঘন কুয়াশা, তাপপ্রবাহ, শিলাবৃষ্টি। মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর মোট ৫০০ হেক্টর জমিতে আমের মোট উৎপাদন মাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিকটন।
তারা বলছে এবার আম গাছে যে মুকুল এসেছে তার ১ শতাংশ গুটি থাকলেই বাম্পার ফলন হবে। মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে দানা বেঁধেছে আমের গুটি। স্বর্ণালি মুকুল ঝরিয়ে শাখা-প্রশাখায় দোল খেতে শুরু করেছে সেই গুটি। কুয়াশা কিংবা ঝড়-ঝঞ্ঝা অথবা শিলাবৃষ্টির কোন ধকল এখন পর্যন্ত নেই। গুটিবাঁধা সেই সবুজ দানাতেই এখন স্বপ্ন দেখছেন মহেশপুরের আমচাষিরা। মৌসুমের এই বিশেষ সময়ে গাছের প্রতি তাদের যত্ন আরো বেড়ে গেছে।
এলাকার এক আম চাষী আবুল হোসেন জানান, এবার গাছে ভালো মুকুল এসেছে। প্রথম অবস্থায় দুইবার কীটনাশক দেয়া হয়েছে। এখন মুকুল শেষে ছোট ছোট গুটি এসেছে তাই আরো কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। আরেক চাষী জানান, প্রায় গাছেই অনেক মুকুল এসেছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। গুটি গুলো নতুন ভাবে বের হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হবে আশা করছি।
এখনো কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা যায়নি। চাষীরা প্রথম অবস্থায় কীটনাশক প্রয়োগ করেছে এখন গুটির জন্য মাঝে মাঝে সাদা পানি স্প্রে করতে হবে। প্রতিটি গাছের মুকুলে একটি করে গুটি থাকলেই বাম্পার ফলন হবে বলেও জানান। তিনি আরও বলেন বারি জাতের আম চাষে পোঁকামাকড় রোধে ব্যগিন পদ্ধতি ব্যবহার করলে চাষীরা লাভবান হবে।