প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫:৫৫:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
পলাশ চন্দ্র সরকার, মান্দা (নওগাঁ) :
জনদুর্ভোগ লাঘবে দুই দশক আগে নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিজটি। কিন্তু সংযোগ রাস্তা নির্মাণ না করায় এটি কোন কাজে আসছে না এলাকাবাসীর। বর্তমানে ইটের গায়ে শ্যাওলা ধরেছে। দু’এক স্থান থেকে খসে পড়তে শুরু করেছে ইট। ব্রিজটির অবস্থান নওগাঁর মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চকরামপ্রসাদ গ্রামে।
২০০০ সালের দিকে কদমতলী বিলের পানি গোদাগাড়ী বিলে নিষ্কাশনের লক্ষ্যে সরকারি ক্যানেলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে এই ক্যানেলটি চকরামপ্রসাদ গ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দেয়। প্রয়োজনের তাগিদে এপার-ওপার হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীকে। তখন ক্যানেলের ওপর বাঁশের আড়া তৈরি করে লোকজন চলাচল করেন। এ অবস্থায় দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি অর্থায়নে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ রাস্তা। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রকিব ও আব্দুল জলিল বলেন, যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ক্যানেলের ওপর সরকারিভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। তবে কোন দপ্তর এটি নির্মাণ করেছে তা জানা নেই। রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগের মধ্যেই তাঁদের চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কাজ হয়নি।
শিক্ষক আব্দুল বারী বলেন, গ্রামবাসীর সুবিধার্থে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা না থাকায় ভোগান্তি কমেনি। বর্তমান সময়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। বারিল্যা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে সেটি ভেস্তে যেতে বসেছে। ব্রিজটি ব্যবহার না হওয়ায় ইট খসে পড়তে শুরু করেছে। জনস্বার্থে অবিলম্বে ব্রিজটিতে সংযোগ রাস্তা নির্মাণের জোর দাবি জানান।
তবে ব্রিজটি কোন দপ্তর নির্মাণ করেছে তার হদিস পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর কিংবা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর কেউ স্বীকার করছে না ব্রিজটি নির্মাণের বিষয়ে। এ কারণে এর নির্মাণ ব্যয় ও সময় সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রয়াত চেয়ারম্যান পিয়ার বকস মন্ডলের আমলে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়ে থাকতে পারে। এর বেশি আমার জানা নেই।