দেশজুড়ে

মিনিস্টার হাই-টেক পার্কে সাংবাদিকদের আনন্দ ভ্রমণ

  প্রতিনিধি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৯:০৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মিনিস্টার হাই-টেক পার্কে সাংবাদিকদের আনন্দ ভ্রমণ

ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ। তেমন করে ভালবাসতে পারলে সত্যিই বুক থেকে লাল-নীল পাথর খসে যায়। এক জীবনে জন্মান্তর ঘটে যায় সহস্র জন্মের। “ভাল আমরা কেন বাসি?” প্রশ্নটা সহজ মনে হলেও আদৌ তা নয়। রবিঠাকুর লিখেছেন: “…জীবের মধ্যে অনন্তকে অনুভব করার অন্য নামই ভালবাসা।” আবার স্বামীজি বলে গিয়েছেন: “জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” -এ শুধু কথার কথা নয়, বক্তৃতাসর্বস্ব হলেও চলবে না, মানবিকতা দিয়ে কাজ করাটা জরুরী- যেটি করছেন, করে চলেছেন, সর্বদায় করতে চাচ্ছেন- তিনি চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান এম এ রাজ্জাক খান রাজ। চুয়াডাঙ্গা শব্দটি তিনি হৃদয়ে লালন করেন। বিশ্বাস করেন, চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন- দেশের উন্নয়ন। গড়ব বাংলাদেশ শ্লোগানের এই প্রবক্তার স্পষ্টভাষণ কেমন যেন দু’হাত দিয়ে ঘিরে রাখা আদর আছে ‘চুয়াডাঙ্গা’ শব্দটিতে। আর তাই এম এ রাজ্জাক খান রাজ এবারে চুয়াডাঙ্গার কলম যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার স্বপ্ন দিয়ে তৈরি দেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘মিনিস্টার হাই টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড’এ।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য সানন্দে সভাপতি সরদার আল আমীন এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচির নেতৃত্বে ছুটে আসেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রধান সড়কের পাশে ৩ শতাধিক বিঘা জমির উপর স্থাপিত মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড পরিদর্শনে। এই আসা কিম্বা পরিদর্শন শেষে ফিরে যাওয়া ব্যাপারটি শুধু ‘আসা-যাওয়া’র মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ছিল ‘ভালবাসা’র এক বন্ধন। সেই বন্ধনে তৈরি অভূতপূর্ব এক মায়ায় চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকরা যেন বারবার বলেছে, ভালটিকে চিনে নিয়েছি দেখ ঠিকঠাক! সেই সুরে জলে-স্থলে-কাছে-দূরে সত্যিই বাঁশি বেজে ওঠেছিল সেদিন!

দিনটি ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারী, বুধবার। মিনিস্টার -মাইওয়ান গ্রুপ চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সম্মানে যশোর বিমান বন্দর থেকে ইউএস বাংলার বিমানে ঢাকা অবতরণের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। এদিন সকালে সাংবাদিকরা প্রথমে চুয়াডাঙ্গা থেকে বিলাসবহুল বাস যোগে যশোর পৌঁছান। আকাশপথে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ। তারপর আবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল। রাজসিক এই আয়োজনের সকল ব্যবস্থায় করে রেখেছিলেন গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

আনন্দ এই ভ্রমণে আমোদিত হয়ে দুপুরে কলম সৈনিকরা মিনিস্টার হাই-টেক পার্কে ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড পৌছুলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদানের মধ্য দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করা হয়। এরপর ছিল প্রতিষ্ঠানের পুকুরের মাছসহ হরেক পদে সাজানো রাজকীয় মধ্যাহ্ন ভোজ। হালকা বিশ্রাম শেষে হাই-টেক পার্ক পরিদর্শন কালে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার দেশের তরুণ প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ স্বয়ং উপস্থিত থেকে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের পণ্য উৎপাদনের ধরণসহ গুণগত মান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তার বর্ণনা দিয়ে বিমোহিত করেন।

মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড -এ প্রতি মিনিটে যেমন তৈরি হচ্ছে দুটি করে ফ্রিজ, তেমনই মিনিটের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এসি। মিনিস্টার রিফ্রিজেটরের সব কিছুই ধাপে ধাপে তৈরি হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা এ প্রতিষ্ঠানে। চোখে না দেখলে বোঝানো কঠিন। সাদা ধূসর ছোট্ট ছোট্ট দানা মেশিনে প্রবেশ করে অমনি হয়ে যাচ্ছে ফ্রিজের ভেতর বাইরের দেয়াল উপদেয়ালসহ ড্রয়ার। আর তাতে বৈদ্যুতিন অংশও যুক্ত হয়ে যাচ্ছে যেনো হাতের ইশরায়। এরপর থরে থরে সেজে ফ্রিজগুলো যেনো নিজেরাই নিজেদের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য প্রবেশ করছে কম্পিউটারাইজ পরীক্ষাগারে। অবাক কা-। খানেকটা একই ধাঁচে একের পর এক তৈরি হয়ে পরীক্ষাগারে প্রবেশ করছে এয়ার কন্ডিশনারগুলো। গুণগত মান, ত্রুটি- বিচ্যুতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই যেখানে প্যাকেটজাত করা হয় সেখানে যাচ্ছে যেনো নিজেই। গোল গোল চলমান পাইপে গড়িয়ে গুড়গুড় করে নির্ধারিত স্থানে গেলে পরিয়ে দেয়া হচ্ছে প্যাকেট নামক জামা। সজ্জিত হয়ে বের হচ্ছে যখন তখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত। রাখা হচ্ছে বিশাল ওয়ার হাউজে। সেখান থেকে নিয়ে যানবহন যোগে পৌছুনোর পালা শো-রুমে। এরপর বিক্রি। প্রতিদিন যখন ৩ হাজারের অধিক তৈরি হচ্ছে নানা মাপের ফ্রিজ তা বিক্রি হচ্ছে কতো? পরিদর্শনরত সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মৃদু হাসিমাখা মুখে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ বললেন, উৎপাদনের হারেই প্রায় বিক্রি। এসিও তাই। একদিকে হরদম তৈরি, অপর দিকে দেদারছে শো রুমে নেয়ার তোড়জোড় দেখে সাংবাদিকরা অভিভূত। সাংবাদিকরা এসব সচক্ষে দেখে চুয়াডাঙ্গার সন্তান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এফবিসিসিআই’র  সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খানের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের আরও একটি সুবিশাল কারখানা রয়েছে গাজীপুরে। ফ্রিজ ছাড়াও মিনিস্টারের প্রোডাকশন লাইনে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টিভি, স্মার্ট এলইডি টিভি, ব্লেন্ডার, গ্রিন্ডার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক কেটলি, গ্যাস বার্নার, ইন্ডাকশন কুকার, ফ্রাইপেন, ফ্যান, আয়রন, স্ট্যাবিলাইজারসহ ২০টির বেশি পণ্য। এর প্রতিটিতে রয়েছে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং এগুলো টেকসই। মিনিস্টার হিউম্যান কেয়ার ডিভিশনে প্রডাক্টে আরো রয়েছে, সেইফটি প্লাস ফ্লোর ক্লিনার, হ্যান্ড ওয়াশ, ব্রাইট ওয়াশ, ওয়ান ওয়াশ, চাঁদ ডিশ ওয়াশ, চাঁদ ফেব্রিক ব্রাইটেনার, টয়লেট ক্লিনার, , হেক্সিন, মাস্ক ও গ্লাস ক্লিনারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু।

দিনটি শুধু মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড পরিদর্শনের জন্য নির্ধারিত ছিল না। চমকে দিয়ে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপ সাংবাদিকদের জন্য আয়োজন করেছিল নানা ইভেন্টের। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সদস্যদের জন্য ছিল প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা। হাই-টেক পার্কের মধ্যেই বিশাল মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতায় মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচিসহ সকলেই অংশ নিয়ে খেলার সবুজ মাঠ করে তোলেন বর্ণিল। খেলায় আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ প্রতিপক্ষকে দুটি গোলও দেন। এরপর শুরু হয় হাড়ি ভাঙ্গা খেলা। এ খেলায় সাংবাদিকদের প্রায় সকলে অংশ নেন। বিজয়ী ৪ জনসহ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মেডেল পরিয়ে দেয়া হয়।

পুরষ্কার বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাদা কালো টেলিভিশন এসেম্বলির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করি। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এর মূল কারণ মূলত সততা। তথা পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা। এক সময় সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন দেশের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটা আমাদের দেশের গৌরব। আমরা এখন দেশের গ-ন্ডি পেরিয়ে রপ্তানির কথা ভাবছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের  ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্যাভিলিয়ন একবার নয়, দুবার নয় তিন তিনবার ভিজিট করেছেন। তিনি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সহাস যুগিয়েছেন। সারা দেশে ভোক্তার আস্থা তৈরি করে দেশের বাজারে বড় জায়গা দখল করতে পেরেছে আমাদের গ্রুপ।

পরিদর্শন শেষে বক্তব্য দিতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন বলেন, মিনিস্টার গ্রুপের আমন্ত্রণে মিনিস্টার হাই-টেক পার্কে ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডে না এলে দেশে শিল্পের যে এতোটা অগ্রগতি হয়েছে তা কল্পনাও করতে পারতাম না আমরা। এতো বিশাল এলাকা জুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে আমরা সত্যিই অভিভূত।

অভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি। তিনি বলেন, সত্যিই আমরা ভাবতে পারিনি, আমাদের একজন ছেলে এতোবড় প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। সব দেখে বলতেই হয়, শাবাশ! এ প্রতিষ্ঠান দেখে বলতে হচ্ছে “আমরাও পারি”।

মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডে পরিদর্শেন যারা ছিলেন তাদের মধ্যে প্রবীন সাংবাদিক আজাদ মালিতা, শেখ সেলিম, এমএম আলা উদ্দীন, শাহ আলম সনি, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, মিজানুল হক মিজান, মাহফুজ উদ্দীন খান, রফিক রহমান, বিপুল আশরাফ, এম এ মামুন, আব্দুস সালাম, আহাদ আলী মোল্লা, রানা কাদীর, ইসলাম রকিব, আতিয়ার রহমান, আব্দুল খালেক, আলগীর কবীর শিপলু, খাইরুজ্জামান সেতু, রেজাউল করিম লিটন, কামরুজ্জামান চাঁদ, উজ্জল মাসুদ, রিফাত রহমান, রুহুল আমিন রতন, সঞ্জিত কর্মকার, মফিজ জোয়ার্দ্দার, হুসাইন মালিক, জহির রায়হান, সোহেল সজিব, পলাশ উদ্দীন, খাইরুল ইসলাম, মাহফুজ মামুন, জামান আক্তার, মশিউর রহমানসহ ক্লাবের সচিব শহিন আলী।

মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডে পরিদর্শন শেষে রাতে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সদস্যগণ কোচ যোগে স্বপ্নের পদ্মাসেতু পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন। মাওয়া ঘাটে ইলিশ ভাজি ভাত দিয়ে ডিনার শেষে পদ্মাসেতু হয়ে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হন। ভোরে চুয়াডাঙ্গা প্রত্যাবর্তণের পর পরম তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সাংবাদিকগণ বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ছেলে তাও আবার তরুণ বয়সে কতবড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড দেখে যেমন মন জুড়িয়েছে তেমনই তার পাশে আরও ৬শ বিঘা জমির উপর ওয়ার্টার পার্ক গড়ে তোলার নকশা দেখে বিমোহিত হয়েছি আমরা সকলে। এই ওয়াটার পাক রিসোর্টটি সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি উদ্বোধন করে অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।

অক্লান্ত পরিশ্রমী, বিনয়ী, মিষ্টভাষী কর্মঅন্তপ্রাণ এম এ রাজ্জাক খান রাজ শুধু সফল উদ্যোক্ত হয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি ব্যবসা, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্বের পাশাপাশি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মানুষের কল্যাণে। চুয়াডাঙ্গার কল্যাণে। সেই করোনাকালীন সময়ে যখন আপনজন আপনজনদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন তিনি তখন ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও। তার মত সুখ কোথাও কি আছে? আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’-মন্ত্রে উজ্জীবীত হয়ে নিজের বাসভবন ‘রাজমহল’কে হাসপাতাল বানিয়ে, ঔষধ-পথ্য, খাবার, নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে মানব সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। আশ্চর্য দলেও সত্য করোনাকাল স্তিমিত হলেও তিনি তার বাসভবনটিকে এখনো হাসপাতাল বানিয়েই নিজ খরচে সার্বক্ষণিক ডাক্তার নার্স রেখে চিকিৎসা সেবা ও ফ্রি ঔষধ সরবরাহ করে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তাঁর মানব সেবার উপহার হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির সদস্য মনোনীত করেছেন।

এম এ রাজ্জাক খান রাজের ভাষায়, আমার এখানে চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকদের যে মিলন মেলা হয়ে গেল আসলে বিষয়টি এক অর্থে ভালবাসার উদযাপন। চুয়াডাঙ্গার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার প্রেমবন্ধন। সমাজ তৈরি হয়েছিল প্রেমের বন্ধনেই। বন্ধনে বা প্রেমে যে আলো ঠিকরে বেরোয়, নম্র অথচ দৃপ্ত সেই অলৌকিক আলোর ভিতর একই সঙ্গে নিজের আর ভালবাসার মানুষগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায়।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম কমান্ড গঠন হয় চুয়াডাঙ্গায়। সেই সময় বাংলাদেশ রেডক্রস বর্তমানে রেডক্রিসেন্ট চুয়াডাঙ্গাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাক বিভাগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এই চুয়াডাঙ্গায় প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রাষ্টীয় মনোগ্রামও প্রথম তৈরি হয় চুয়াডাঙ্গায়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পাসপোর্টের ভিসা প্রদানে চুয়াডাঙ্গার এই সিলমোহর ব্যবহার হতো। ব্রিটিশ শাসনামলেও প্রথম ডাকঘর স্থাপিত হয় এখানেই। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল চুয়াডাঙ্গায় কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে পাকিস্তানী সামরিকজান্তা তাদের বিধ্বংসী নাপাম বোমা প্রথমেই ফেলে চুয়াডাঙ্গাতেই। অস্থায়ী রাজধানী তখন সরিয়ে নেয়া হয় পাশ্ববর্তী মুজিবনগরে। চুয়াডাঙ্গাতেই স্থুাপিত হয় বাংলাদেশের প্রথম রেলস্টেশন। দেশের প্রথম রেলওয়ে আন্ডারপাস এবং দ্বিতল রেলস্টেশনও নির্মিত হয় এখানে। এশিয়ার বৃহত্তম চিনিকল কেরু এ- কোম্পানী এখানে। দেশের বৃহত্তম দত্তনগর কৃষি খামারও চুয়াডাঙ্গায়। এই ইতিহাস ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে চুয়াডাঙ্গার জন্য বর্তমানে সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুস্থ ও সৎ দূরদর্শী সম্পন্ন এক একজন রাজ্জাক খানদের- সময়ের প্রয়োজনে এ মন্তব্য এখন চুয়াডাঙ্গার কলম সৈনিকদের।

আরও খবর

Sponsered content