চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে আমিষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৫ জন আহত

  প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২৫ , ৭:৪১:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আমিষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে সনাতনী সম্প্রদায়ের এক পরিবারের হামলায় নারী, পুরুষ ও বৃদ্ধ সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মজুমদার হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, সুজন জলদাস (৩০), তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী সতি  রানী দাস (৩৭), তাদের পিতা মন্টু জলদাস (৭০), মন্টু জলদাসের স্ত্রী সতি লক্ষি জলদাস (৬০), শংকর দাস  (২১) ও শয়ন দাস (১৮)।

হামলায় আহত সুজন দাসের স্ত্রী পাখি রানিদাস বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ও  স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায় গতমাসে অভিযুক্ত সুরেশ জলদাসের বড় ভাই সুভাষ জলদাস মারা যায়। পরিবারের কোন সদস্য মারা গেলে সনাতনি সম্প্রদায়ের নীতি অনুযায়ী নিরামিষ ( শাক, সবজি) গ্রহণ করে আমিষ (মাছ, মাংস) থেকে বিরত থাকতে হয়। কিন্তু মাস পূর্ণ না হতেই সুরেশের চাচাত ভাই মানিক জলদাস (৩৫) একটি অনুষ্টানে গিয়ে আমিষ (মাছ, মাংস) খেয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। অভিযোগকে কেন্দ্র করে সুরেশ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়  মজুমদার হাটে মানিকের ভাই সুজনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তাকে পায়ের সেন্ডেল খুলে প্রহার। বিষয়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক প্রকার সুরাহা হয়ে যায়। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টায় সুরেষ বাংলা মদ পান করে মাতাল হয়ে সুজনের ঘরের দরজায় এসে লাঠি নিয়ে গালমন্দ করতে থাকে ও হুমকি ধমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে সুজন জলদাসের স্ত্রী পাখি জলদাস প্রতিবাদ করলে  সুরেশের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।

এসময় স্ত্রীকে নীবৃত করতে সুজন জলদাস এগিয়ে আসলে তার উপর বাশের লাঠি দিয়ে হামলা করে সুরেশ, তার ভাই সুমন জলদাস, কাঞ্চন জলদাস ও শম্ভু জলদাস। সুজনের উপর হামলার ঘটনায় তার ৭০ বছরের বৃদ্ধ পিতা মন্টু জলদাস ও ৬০ বছরের বৃদ্ধ মাতা সতিলক্ষি জলদাস এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঠি দিয়ে এলাপাতাড়ি মেরে আহত করা হয়। বৃদ্ধ পিতা মাতা ও শশুর শাশুড়িকে উদ্ধার করতে আহত হয় তাদের সন্তান শংকর জলদাস,, শয়ন জলদাস ও সতি রানী দাস।

পাখি রানি দাস বলেন, সুরেশ জলদাস এর আগেও মদ্যপ অবস্তায় তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমাণ্য ব্যাক্তিদের উপস্তিতিতে তার বিচার করা হয়। মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন সময় খারাপ কাজ করার কারনে তাকে বাজারে বিভিন্ন সময় ফিলারের সাথে বেধে শাস্তি দেয়া হয়।

অভিযুক্ত সুরেশ বলেন, আমিষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাজারে সুজনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার গালে চড় মারি। সেটা সমাধান ও হয়ে যায়। কিন্তু রাতে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে বদলা নিতে তারা আমার উপর হামলা করেছে। আমি হাতের কজি¦তে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

মিরসরাই থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় এক পক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্ততে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একপক্ষের ৫ জন আহতের পাশাপশি অপরপক্ষের আহত আছে বলে দাবি রয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content