মো. আবুসালেহ (সজীব) মির্জাপুর, টাঙ্গাইল ৩ মে ২০২৫ , ৬:০০:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রনারচালা পশ্চিম মিসরন বিবি জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ অর্থাভাবে থেমে আছে। নির্মাণকাজটি নতুন করে শুরু করতে অনেক টাকার দরকার। মসজিদে নামাজ আদায় নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মুসুল্লিরা। নির্মাণকাজ আরম্ভ করতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন উদ্যোক্তারাও।
২০১৬ সালে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মসজিদটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২২ শতাংশ জমিতে ৬ তলার মসজিদটির নির্মাণ কাজ উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে আটকে আছে মসজিদের সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ। এই মসজিদের বারান্দার ওয়ালের দরজা,জানালা, গ্রীল ও ফ্লোর ও প্লাস্টারসহ সমস্ত কাজই অসম্পুর্ণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন, এলাকাবাসী, প্রবাসী ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.আমছের ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন সিনিয়র সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ মো. কাবেল মিয়া, সম্মানিত সদস্য রাজীব হোসেন সহ দায়িত্বশীলরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, বর্তমানে মসজিদটিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীসহ প্রতি শুক্রবার জুমাতে প্রায় তিন থেকে চার হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করেন। মসজিদ এ প্রতি ঈদগাহ মাঠে শত শত হাজার হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করেন। তাদের বেশিরভাগই কৃষক ও খেটে-খাওয়া মানুষ।
অযুখানা ও স্যানিটেশনসহ মসজিদের বারান্দার নির্মাণ কাজ এইগুলা করতে প্রয়োজন মোটা অংকের আর্থিক সহায়তা। মুসুল্লিদের প্রত্যাশা-আর্থিক সহায়তার হাত আরও প্রসারিত করবেন এলাকাবাসিসহ আশপাশ অঞ্চলের বিত্তবান ও প্রবাসীরা। এগিয়ে আসবেন উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় সমাজসেবক ডাক্তার রেজাউল করিম বলেন, মসজিদের কাজটি অতি দ্রুত সম্ভব শুরু করা প্রয়োজন। আমরা গ্রামের খেটে-খাওয়া গরিব মানুষ। বড় অংকের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা কাওসার হাবিব ইসলাম বলেন, বর্তমানে মসজিদের কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। নামাজ পড়তে খুব সমস্যা হচ্ছে মুসল্লিদের । তাই উপজেলা প্রশাসন, এলাকবাসী সকল বিত্তবান ও প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
উক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আমছের বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মসজিদটির নতুন নির্মাণ কাজ করা হবে। পাইলিং নির্মাণ কাজে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন যত দ্রুত এই কাজটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন। মসজিদটি সম্পূর্ণ করতে আরও লাখ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা আমাদের পক্ষে কোনভাবেই জোগাড় করা সম্ভব না ।
এব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, সহযোগিতার জন্য একটি আবেদন দিয়ে রাখলে পরবর্তিতে সুযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।