প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২০ , ৩:৪৮:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
এ বারের নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০১১ সালে প্রত্যক্ষ সেনা শাসন শেষ হওয়ার পরে দেশটিতে এবার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন সু চি। পরে তিনি ক্ষমতা ভাগাভাগি করার চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবল ক্ষমতাশালী জেনারেলদের সঙ্গে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে সোমবার সারাদিন লেগে যাবে বলে জানা গেছে। রোববার রাতের দিকে সু চির হাজার হাজার সমর্থক তার দলীয় সদর দফতরের সামনে জড়ো হয়ে পতাকা ওড়াতে ও স্লোগান দিতে থাকে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের আইকন সু চির জনপ্রিয়তায় বিশ্বব্যাপী ভাটা পড়ে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার পর তার প্রতিক্রিয়ার কারণে। ২০১৭ সালে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। মিয়ানমারের সেনারা তাদের ‘জঙ্গি’ বলে আখ্যায়িত করে।
মিয়ানমারের বেশ কিছু অংশে এদিন ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। বিশেষ করে রাখাইন, শান, কাচিনের মতো এলাকায়। যেখানে অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাস। নিরাপত্তার অজুহাতে এসব স্থানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বয়স্কদের অগ্রিম ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো মিয়ানমারে। তখনই ভোট দিয়েছেন ৭৫ বছর বয়সী সু চি নিজেও।
তার ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি(এনএলডি) পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অন্য আরও ২৩টি দলের সঙ্গে তারা নির্বাচন পেছানোর দাবি তোলে। তবে সু চি বলেছিলেন, নির্বাচন করোনার থেকেও জরুরি। তিনি সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।