প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২১ , ৪:৪৯:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
মিয়ানমারের অব্যাহত ক্যুবিরোধী বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে এভাবেই মুহুর্মুহু গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। সেনা মদদপুষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিশানার শিকার হন শতাধিক আন্দোলনকারী। শনিবার সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপনের দিন সেনা প্রধানের হুঁশিয়ারী ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিক্ষোভে নামে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থিরা। গুলির জবাবে ইটপাটকেল, গুলতিসহ লাঠিসোটা দিয়েই প্রতিহতের চেষ্টা করেন তারা।
ইয়াঙ্গুন, নেইপিদো, ম্যান্দালে, লাইংসহ মিয়ানমারজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ক্যুর পর জান্তাবিরোধী আন্দোলনে শনিবার মিয়ানমার সেনা সরকারের সবচেয়ে ভয়াবহ ও জঘন্য আচরণের শিকার হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিকদের জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী কমিটির মুখপাত্র দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য লজ্জাজনক দিন দিবস অ্যাখ্যা দিয়েছেন। চারশ বেসামরিক নিরপরাধ মানুষকে হত্যার পর সামরিক বাহিনীর জেনারেলরা সশস্ত্র দিবস পালন করছেন। আজকের দিনটি ইতিহাসের পাতায় তাদের জন্য চরম লজ্জার একটি দিন হয়ে থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার পরও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। মিয়ানমার সেনাসরকারকে ত্রাসের শাসক আখ্যা দিয়ে শনিবারের রক্তাক্ত ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্কসহ ১২টি দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান বিরল যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে দ্রুত রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এছাড়া, শনিবারের ঘটনাকে গণহত্যার দিন আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।