খুলনা

মীম হত্যার দুই মাস : আসামি ধরতে পুলিশের গড়িমসি!

  প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২০ , ৩:২২:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ তাসমীম আলম মীম হত্যা মামলার দুইমাসেও আসামীরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ মামলার দুই আসামী স্বামী ও শাশুড়ি তাদের ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ নিহত গৃহবধূ তাসমীম আলম মীমের পরিবারের। এতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তারা।
নিহত মীমের মা তাজমা খাতুন বলেন,দিন গুনতে গুনতে মেয়ে হত্যার দুই মাসেও আসামীরা পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। কোন এক অদৃশ্য কারণে পুলিশ আসামীদের ধরতে গড়িমসি করছে। এ মামলার প্রথম দিকেই পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করেছিল। এবার আসামী ধরছে না। এ হত্যা মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন,‘যৌতুক লোভী জামাই ও তার মায়ের কাছে হেরে গেলাম। ‘যৌতুক দিতে না পেরে অবশেষে জীবনটাই দিয়ে দিতে হলো আমার মেয়েকে। এই জীবনের আর কিছুই চাই না। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

নিহত মীমের মামা খোশবুল আলম মুন্না বলেন,বিচারের রাস্তাটা স্বচ্ছ মনে হচ্ছে না। আমাদের সন্তান হত্যার বিচার হবে কি না তাও জানিনা। প্রশাসন তাদের গতিতেই চলছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ভুলেই গেছে গৃহবধূ তাসমীম আলম মীম হত্যাকান্ডের ঘটনা। এ মামলার ক্ষেত্রে প্রশাসন ঢিলে ঢালা অবস্থানে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বলতেই পারি অবহেলায় চলছে এ মামলার কাজ। মেয়েটা আমাদের খুবই আদরের ছিল। তার কথা মনে হলে রাতে ঘুমাতে পারি না। খেতে পারি না। সন্তান হারানোর বেদনা কেউ বুঝলো না। আসলে আমাদের হৃদয়ের কথা কেউ বুঝলো না। চোখের জলই সম্বল এখন আমার পরিবারের লোকজনের। এভাবেই কান্না ভরা কষ্ঠে বলছিলেন নিহত মীমের মামা মুন্না।
তিনি আরও বলেন,আসামীরা এখনও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। তাদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না। কি কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না তা আমার অজানা। যারা আমাদের মেয়েকে হত্যা করলো তাদের বিচার কি হবে না? এমন নানান প্রশ্ন প্রতিমুহুর্তে তারা করে বেড়ায় আমাদের।

উল্লেখ্য, বিয়ের পর থেকেই স্বামী বাপ্পি ও শাশুড়ি কোহিনুর মোটরসাইকেল যৌতুক দিতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন। এতে গৃহবধূ মীমকে উঠতে-বসতে নানান ধরনের কথা শুনান। এই নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে মারা যান গৃহবধূ মীম।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই অরুনের সঙ্গে মুঠোই ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি

দৌলতপুর থানার (ওসি) জহুরুল আলম বলেন,এখনও তাদের গ্রেফতার করতে পারিনি। তারা আত্ম গোপনে রয়েছে। এ মামলার আসামীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content