প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৩ , ৫:০২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অন্যের জমির শস্য জোর করে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ভূইয়া শীলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের জলিরপাড় গ্রামের মৃত লালচান মন্ডলের ছেলে অসহায় কৃষক নিরোদ মন্ডলের সাথে। শুধু তাই নয়
ভুক্তভোগী নীরোদ মন্ডল বাঁধা দিতে গেলে তার ওপর চড়াও হয় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, প্রতিপক্ষের ভূইয়া শীলের সাথে নীরোদ মন্ডলের ৩৩ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে দেঃ ১৪৯/১৯ নং মামলা চলমান ছিলো। গত বছর টুঙ্গিপাড়া সহকারী জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ২৪/০৩/২০২২ ইং তারিখে ৬৩/ টুঙ্গি/ নং স্মারক মূলে মুকসুদপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ১৯৮৬ সালের ৫৬২৩ নং দলিলটি বাতিলের আদেশ দেন। পরে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ও পূর্ব থেকেই ভোগদখল করে আসা উক্ত জমিতে শস্য রোপন করেন নীরোদ মন্ডল। এদিকে ভূইয়া শীল উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে আপিল করেই গায়ের জোরে পার্শ্ববর্তী টেকেরহাট এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কিছু শ্রমিক নিয়ে জোর করে নীরোদ মন্ডলের জমির শস্য কেটে আনে। বাঁধা দিলে তাকে খুন জখম করার হুমকি-ধমকি দেয়। এ বিষয়ে ওই এলাকার মৃত কার্তিক চন্দ্র মন্ডলের ছেলে প্রবীণ কুঞ্জ লাল মন্ডল, জগেস মন্ডলের ছেলে গুরুপদ মন্ডল, মনোহর মন্ডলের ছেলে বাবুল মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূইয়া শীলের দলিলটি জাল প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তার দলিলটি বাতিল করে নীরোদ মন্ডলের পক্ষে রায় দেন। এখন সে আরেকটি দলিল দেখিয়ে ওই জমি জোর জবরদস্তি দখলের পাঁয়তারা করছে। নিরোদ মন্ডল প্রবীণ ও অসহায়। সরকারের নিকট তার জীবনের নিরাপত্তা প্রদান সহ ওই জমি যেন কোনভাবেই তারা জবর দখল করতে না পারেন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী মহল যেন নীরোদকে হয়রানি না করে তার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত ভূইয়া শীলের বাড়িতে গিয়ে মুকসুদপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ১৯৮৬ সালের ৫৬২৩ নং দলিলটি বাতিলের কারণ ও জোর করে নীরোদ মন্ডলের জমির ফসল কেটে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্তু তাকে কোন হুমকি-ধমকি দেননি বলে দাবি করেন।