প্রতিনিধি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২:৩৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর, কারওরান বাজার, গাবতলী, আব্দুল্লাহপুরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকা ছিল। আর আগের সপ্তাহে ছিল ১১০-১১৫ টাকা।
আব্দুল্লাহপুর বাজারে ১৪৫ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা মো. হালিম মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার ওপরে বাড়ায় কেজি ১৪৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। দাম বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি এখন আগের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। সামনে আরো দাম বাড়তে পারে।
মিরপুরে ১৪০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা ইদ্রিস মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। পাইকারিতে দাম বাড়ায় আজ ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সংবাদে হুট করেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এরপরও সব ধরনের সবজির দাম এখনো বেশ চড়া। শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২২০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
আর আগের দরেই গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তার কেজি ৭০-১০০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। তবে পটলের দাম কিছুটা কমে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। দাম কমার তালিকায় থাকা কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
এছাড়া বেগুন গত সপ্তাহের মতো ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কারওয়ান বাজারে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা। পটল ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। আর ৬০ টাকার ঝিঙা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।