প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২০ , ১০:৫৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ অনলাইন:
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দেশে কার্যরত সব মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) প্রধান নির্বাহীদের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
চিঠিতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) পরিসেবাগুলোর ধরন ও সার্ভিস চার্জ/মাশুল সম্পর্কে গ্রাহকদেরকে যথাযথভাবে অবহিত করতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিষেবা দেয়ার আগে তার ধরন, প্রযোজ্য সার্ভিস চার্জের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জের তালিকা সম্পর্কে গ্রাহকদের যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
যে কোনো পরিষেবা প্রদানের পূর্বে পরিষেবার ধরণ, পরিষেবার জন্য প্রযোজ্য সার্ভিস চার্জ/মাশুলের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জের তালিকা এবং ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড ক্রোয়েশ্চেন (এফএকিউ) প্রস্তুত করে সে সম্পর্কে গ্রাহককে যথাযথভাবে অবহিত করার উদ্দেশে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনে প্রদর্শন করতে হবে।
পরিষেবার ধরণ বা মাশুল হার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গ্রাহককে অগ্রিম নোটিফিকেশন প্রেরণের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে।
সার্ভিস চার্জ/মাশুল হার সংক্রান্ত বিভ্রান্তি পরিহারকল্পে বিভিন্ন গণযোগাযোগ (সংবাদপত্র, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি) এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ইত্যাদি) প্রচার-প্রচারণাসহ সব ক্ষেত্রে ভ্যাটসহ সার্ভিস চার্জ/মাশুল হার উল্লেখ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ২৬৮টি। এসব একাউন্টে জুলাই শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রামেই সবচেয়ে বেশি একাউন্ট। গ্রামে এখন পর্যন্ত একাউন্ট সংখ্যা রয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ১৮২টি। শহরে রয়েছে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬টি। এরমধ্যে নারী একাউন্টের সংখ্যা রয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার ৬৩৫টি। পুরুষ একাউন্ট রয়েছে- ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৬৮টি। অন্যান্য একাউন্টের সংখ্যা- ২ লাখ ৬ হাজার ৩৬৫টি।
এদিকে, এক বছরে এ মাধ্যম ব্যবহার করে গ্রাহকরা টাকা পাঠিয়েছেন ৩ হাজার ৫৯৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। টাকা উঠিয়েছেন-৬ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্যবসায়িকভাবে টাকা পরিশোধ করেছেন এ মাধ্যমে ৬৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা। বেতন পরিশোধ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন সেবা সংস্থার বিল পরিশোধ করা হয়েছে- ৩৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। বেসরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাওনা লেনদেন করেছে ৯ হাজার ১৭১ কোটি ২ লাখ টাকা। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬ লাখ টাকা।