দেশজুড়ে

মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদকের অভিযান

  প্রতিনিধি ২১ মে ২০২৫ , ৮:০১:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদকের অভিযান

বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দক্ষিন জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদকের অভিযান কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসান এর বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভূত ভূমি সেবার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে বাগেরহাট জেলা দুদক কার্যালয়ে ঐ ভূমি কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর দেড়টায় দিকে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের দক্ষিন জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দুদক বাগেরহাট জেলা সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম দুই ঘন্টা ব্যাপি এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসান এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ভূমি কর দাতাদের নিকট থেকে নামজারি সহ ভূমি সেবার নামে বিভিন্ন খাত অতিরিক্ত অর্থ আদায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঐ অফিসের একটি রুমের মধ্যে থেকে ব্যাগে থাকা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রাথমিক ভাবে জব্দ করেন অভিযানকারীরা।

অভিযান পরিচালনার সময় স্থানীয় ভূমি মালিক সোমাদ্দারখালী গ্রামের হাজি¦ নাসির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার নিকট থেকে ইউনিয়ন তহশিলদার গাজী শামিম আহসান জমির খাজনা বাবদ ১৮০০০/- টাকা গ্রহণ করে রশিদ প্রদান করেছেন ৩৭০ টাকার। এরকম একাধিক ভূমি মালিকেরা অভিযোগ রয়েছে।

এ সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা দুদক এর সহকারী পরিচালক অভিযানের টিম প্রধান মোঃ সাইদুর রহমান বলেন দুদকের কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সারাদেশে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে মোরেলগঞ্জ দক্ষিন জিউধরা ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অফিসটি সবচেয়ে দুর্নীতি গ্রস্থ। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসানের বিরুদ্ধে স্থানীয় একাধিক ভূমি মালিকদের লিখিত অভিযোগ রয়েছে। অনলাইনে জমির খাজনা আদায়, নামজারি সহ ভূমি সেবার সরকারি নির্ধারিত ফি ব্যাতিরেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন তিনি। সে কারনে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

ভূমি কর্মকর্তার নিকট ব্যাগের রাখা উদ্ধারকৃত পঞ্চাশ হাজার টাকা জব্দ করে তার নিকট ই রাখা হয়েছে। পরবর্তি তদন্ত চলাকালীন তার নিকটে পাওয়া প্রাপ্ত টাকা সঠিক প্রমানাদি না পাওয়া পর্যন্ত অন্যত্র ব্যয় করতে পারবে না। তার নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে স্ব-শরিরে দুদক জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাবের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান। এদিকে এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী শামিম আহসান তার দপ্তরে প্রাপ্ত টাকার বিষয়ে বলেন তার মৎস্য ঘেরে মাছ বিক্রি করা টাকা তার নিকটে ছিলো।

আরও খবর

Sponsered content