দেশজুড়ে

মোরেলগঞ্জে কৃষি অফিসের পার্টনার ফিল্ড স্কুলের সনদপত্র ও ভাতা পায়নি কৃষকেরা

  প্রতিনিধি ৪ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:১৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মোরেলগঞ্জে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের সনদপত্র ও ভাতা পায়নি কৃষকেরা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি পার্টনার ফিল্ড স্কুলের সনদপত্র ও ভাতা পায়নি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কৃষকেরা।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমত জামুয়া গ্রামে স্থাপিত পার্টনার ফিল্ড স্কুল এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কৃষকদের সঙ্গে কথাবলে জানাগেছে, গত আউস ধান মৌসুমে ওই গ্রামের ২০ জন ও আমবাড়িয়া গ্রামের ৫ জন মোট ২৫ জন কৃষককে নিয়ে স্কুলটি চালু করা হয়। তারা আরও জানান, একটি বসতবাড়ির উঠোনে ত্রিপল বিছিয়ে তাদের ক্লাস নেয়া হয়। ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লীষ্ট কর্মকর্তাদের সুবিধাজনক সময় পৃথক পৃথকভাবে মাত্র ৪ দিন তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বাকি ৬ দিনের কোন ক্লাস নেয়া হয়নি। প্রশিক্ষণকালীন ৪ দিন তাদেরকে ১৫/২০ টাকার নাস্তা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে সরকার প্রদত্ত সনদপত্র ও বরাদ্ধকৃত সম্মানি ভাতা দেয়ার কথা থাকলেও ৪ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত তাদের প্রাপ্য ভাতা ও সনদপত্র প্রদান করা হয়নি। এদিকে সম্মানি ভাতা নিয়েও প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে কারো কারো সন্দেহ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক তাদের ভাতা আত্মসাৎ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাগেছে, কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতিবছর রবি মৌসুম ১৬ অক্টোবর থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত রবি ধান চাষিদের প্রশিক্ষষ প্রদান করার কথা এবং প্রদর্শনি দেয়ার কথা রয়েছে। খরিফ-০১ আউশ ১৬ মার্চ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা, খরিফ-০২ আমন ১৬ জুলাই হতে ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, ৩ টি মৌসুমের মধ্যে খরিফ-০১ ও খরিফ-০২ প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ। কৃষকগণের ভাতা ও সনদ প্রদান করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, কৃষি বিভাগের নিয়ম রক্ষায় তারা কৃষকদের দিকে নাতাকিয়ে কাগজকলম ঠিক রাখার জন্য নামকাঅস্তে অসময় প্রশিক্ষণ দিয়েথাকে। আর এ অসময়ে প্রশিক্ষনের ফলে সরকারের কৃষি পন্য উৎপাদনে সঠিক লক্ষমাত্রায় পৌছান সম্ভব হচ্ছেনা।

এ বিষয় প্রশিক্ষণ কমিটর সভাপতি মনিরুল ইসলাম দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমীনের সঙ্গে কথা বল্লে তারা জানান, যথাসময়ে সম্মানি ভাতা না দেয়ার কৃষকদের মাঝে আমাদের নিয়ে সন্দেহ হয় যে আমরা সম্মানির টাকা আত্মসাৎ করেছি। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সংশ্লীষ্ট কৃষি অফিস বরাদ্ধের টাকা পায়নি বলে তাদেরকে আজ কাল দেবো দেবো বলে ঘুড়াতে থাকে।

এব্যাপারে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, তারা বৃষ্টির কারনে প্রতিদিন ২ টি করে ক্লাশ নিয়ে ৪ দিনে ৮ টি ক্লাশ নিয়েছেন। ২ টি ক্লাশ বাকি আছে। বর্তমান সপ্তাহে ১ দিনে ২ টি ক্লাশ নিয়ে ওইদিন কৃষকদের সনদ ও সন্মানি ২ হাজার টাকা করে প্রদান করবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি বিভিন্ন সমস্যার কারনে তাদের ভাতা দিতে পারিনি তবে রবিরার অবশ্যই দিয়ে দিবো। জুলাইয়ের ট্রেনিংএর টাকা জানুয়ারীর ৫ তারিখ দিবে তাও আবার সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ করার পরে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নাজমুল হাসান বলেন, ব্যাপারটি খুবি দু:খ জনক। বিষয়টি আমি খোজ নিয়ে দেখি ব্যাপারটি কি হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content