শামীম আহসান মল্লিক ১৩ মে ২০২৫ , ৫:৪৯:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেই প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেনের বিরুদ্ধে নানাবিধ দূর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিজ এলাকায় চাকুরী করার সুবাধে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ বিগত সরকারের আমলে প্রভাব শালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে গোট হাসপাতালে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলেছে। হয়েছে নামে বেনামে অনেক সম্পাদের মালিক। নিজের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বলে এর প্রভাব খাটিয়েছে হাসপাতালে নিজের পাকা বাড়ী নির্মানাধীন রাজমিস্ত্রীর কাজের টাকা পরিশোধ করেনি এরকম অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সরকার পরিবর্তনের পর বিগত দিনের তার অনিয়মের মুখ খুলতে শুরু করেছে ভূক্তভোগীরা। এ সংক্রান্তে দৈনিক ভোরের দর্পন সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সেই অফিস সহকারী মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নিতীর সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। তবুও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বহল তবিয়তে থেকে যায় এ কর্মস্থালে। হাসপাতালের কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরহা পাইনি একটি ভূক্তভোগী পরিবার।
অবশেষে প্রতারণ করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে বাগেরহাট সহকারী পরিচালক দুদক, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জন এর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে শুভংকর শিকদার। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাঠালতলা গ্রামের দুলাল চন্দ্র শিকদারের স্ত্রী মৃত্যু: মিনা রানী ঠাকুর মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের একজন সিনিয়ার নার্স হিসেবে কর্মরত থেকে ২০২০ সালের ১৪ জুন করনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনায় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন।
পরবর্তীতে তার নামীয় পেশন, জিপিএ ফান্ড, জনকল্যন, কল্যান তহাবিল, সৎকার কাজে জেলা প্রশাসক থেকে আর্থিক সহায়তা এ সংক্রান্ত কাগজপত্র ঠিক ঠাক করে দেওয়ার জন্য মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেন কে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকার চুক্তি করে সেই অনুযায়ী মিনা রানী ঠাকুরের ছেলে পেনশনের ২৭ লক্ষ টাকা তুলে সেখান থেকে তাকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে হিসার রক্ষক তার কথা অনুযায়ী কাজ না করে বাকী কাজ সম্পূর্ন করার জন্য পূনরায় টাকা দাবি এবং বিভিন্ন দপ্তরের কথা বলে বিভিন্ন সময় মিনা রানী ঠাকুরের ছেলে শুভংকর শিকদার এর কাছ থেকে আরো ২লক্ষ ৫০হাজার টাকার বেশী হাতিয়ে নেয়।
এ ছাড়াও অফিস সহকারী ব্যাক্তি জমি ক্রয়ের কথা বলে শুভংকর শিকদারের নিকট থেকে ধার সরুপ ১লক্ষ টাকা নিয়ে ৫০হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকী টাকা না দিয়ে বছরের পর বছর ঘুড়িয়ে তারবাহানা শুরু করে। এ ঘটনায় শুভংকর শিকদার হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মুজাহিদুল ইসলাম এর কাছে গত ৫ ফেব্রয়ারী একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কর্মকর্তা ২/৩ মাস ঘুরিয়ে কোন সমাধান দিতে পারেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন তিনি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি। এ সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা দুদক সহকারী পরিচালক মো: সাইদুর রহমান বলেন, অফিস সহকারী মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, সত্ততা পেলে অফিসিয়াল আইনগত ব্যস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মাহাবুবুল আলম বলেন, মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আগামী সপ্তাহে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।