প্রতিনিধি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ২:৪০:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
কিছু ক্ষতি অপূরণীয়। কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। ক্ষণজন্মাদের জন্য আক্ষেপ বাড়ে ভক্তদের। তাইতো মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পেরোলেও এখনো ম্যারাডোনার তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না মানুষের। নানাভাবে চলছে তদন্ত। কাঠগড়ায় উঠাতে পিছপা হচ্ছে না ম্যারাডোনার কাছের মানুষের। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যারাডোনার মেয়ে জিয়ান্নি ম্যারাডোনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। আইনজীবী জানালেন, বাবার সঙ্গে মেয়ের শেষদিন কী কথা হয়েছিল?
আইনজীবী রোডোলফো বাক বলেন, ‘ম্যারাডোনার মেয়ে আমাকে জানায় ম্যারাডোনা যে বাড়িতে থাকত সেটা নাকি তারা ভাড়া করে দেয়নি। কারা দিয়েছে সেটা তারা জানে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ম্যারাডোনার বাসায় তার মেয়েরা আসত। কিন্তু তারা কখনো ড্রাগ জাতীয় জিনিস আনত না। তাহলে যারা ম্যারাডোনাকে ড্রাগ এনে দিত তারা বাইরের লোক। তারা ম্যারাডোনাকে বাজে কিছু খাইয়ে দিতে পারে।
হৃদযন্ত্রে ও মস্তিষ্কে সমস্যা ছিল ম্যারাডোনার। যার প্রভাবে মারা যান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মৃত্যুর সময় তার পাশে কেউ ছিল না। তবে মারা যাবার আগে একবার বাথরুমে যান ম্যারাডোনা। কী কারণে যান, সেই নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। চিকিৎসকরা মনে করছেন তীব্র ব্যথার কারণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া তার রুমে পাওয়া যায় মারিজুয়ানা।
আইনজীবী আরও জানান, তার রুমে আমরা মারিজুয়ানা পাই। ম্যারাডোনা মারিজুয়ানা সিগারেট খেতেন। এ ছাড়া অ্যালকোহলও পাওয়া যায়। তার মেয়ে আমাকে জানান, ম্যারাডোনার সঙ্গে যখন মেয়েরা দেখা করতে যেতেন তখন প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় পেতেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এসব জানত। কিন্তু কিছুই করেননি।
এই জবানবন্দির পর আরও রহস্য বাড়ল। তবে কি তিলে তিলে ম্যারাডোনাকে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছিল?