প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২০ , ২:০২:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
খাতিবজাদে বলেন, “ক্যারিবিয়ান সাগরের জলদস্যুরা অন্যের জাহাজ লুট করে দম্ভভরে গর্ব করে বেড়াচ্ছে; অথচ কোনো সভ্য সমাজ চুরি করে গর্ব করতে পারে না।”
এর আগে মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানায়, ‘ভেনিজুয়েলা যাওয়ার পথে মার্কিন নৌ-সেনারা যেসব ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করেছিল সেগুলোর তেল বিক্রি করেছে ওয়াশিংটন।’
এ সম্পর্কে খাতিবজাদে নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে লিখেছেন, তেহরান এর আগেও ঘোষণা করেছে, ওই ট্যাংকারগুলো ইরানের নয় বরং অন্য কারো জাহাজ চুরি করেছে মার্কিন সেনারা।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার জানায়, সম্প্রতি আমেরিকা ভেনিজুয়েলাগামী ইরানি তেলের একটি চালান আটক করেছে। সেই তেল ৪ কোটি ডলারে বিক্রি করা হয়েছে। তবে ইরান শুরু থেকে বলে এসেছে ওই তেল ট্যাংকারগুলো ইরানের ছিল না।
এর আগে ১৪ আগস্ট কারাকাসে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হুজ্জাত সুলতানি বলেছেন, ‘এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপপ্রচার। আমেরিকা যে চারটি তেল ট্যাংকার আটক করেছে তার সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পর্ক নেই। আটক জাহাজগুলোর মালিক যেমন ইরান নয় তেমনি এগুলোতে ইরানি পতাকাও বহন করা হয়নি।’
এদিকে, ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ অ্যারিয়াজা বলেছেন, ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ফলে এখন প্রয়োজনে তার দেশ তেহরানের কাছ থেকে বৈধভাবে সমরাস্ত্র আমদানি করতে পারবে।
শুক্রবার রাজধানী কারাকাসে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ অক্টোবর ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে, কাজেই এখন ভেনিজুয়েলা যেকোনো সময় ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে জ্বালানী ও গাড়ি নির্মাণ শিল্পে তেহরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কারাকাস।
সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার ইরানের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সবগুলো সদস্য রাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে আমেরিকার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে গত ১৮ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যায়।