প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৮:১৪:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি: লকডাউনের কোনো প্রভাব নেই রংপুর নগরীর বাজারগুলোতে। সাধারণ মানুষ তোয়াক্কাই করতে চাচ্ছেনা করোনাকে। আর এ গাফিলতি থেকেই ঘটতে পারে বড় বিপর্যয়। প্রতিদিন সকাল-বিকাল নগরীর বাজারগুলোতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছে। গোপনে বা প্রকাশ্যে চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা, খাবারের হোটেল ও প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় অনেক দোকানই খোলা রাখা হচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি।
ন্যূনতম মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না অনেকেই। কারও মাস্ক ঝুলছে কানে, আবার কেউ গুটিয়ে রেখেছেন থুঁতনিতে। সাধারণ সময়ের মতো স্বাভাবিক গাদাগাদি করে সদাই-পাতি করছেন লোকজন। জীবনঘাতী ভাইরাস করোনার ভয়াল সংক্রমণেও সামাজিক দূরত্বের বালাই নাই রংপুর নগরীর প্রধান বাজার সিটি মার্কেটে। আশু পদক্ষেপ চেয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে নাগরিক কমিটি। মেয়রও চান বন্ধ হোক বাজারগুলো।
রংপুর করোনা প্রতিরোধে নাগরিক কমিটি খন্দকার ফকরুল আনাম বেনজু বলেন, রংপুর সিটি বাজার এবং গুদরি বাজারকে লকডাউন করে দেয়া হোক।
রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, নানা কারণে আমরা এখনো শিফট করতে পারিনি। কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না। সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। পুরো নগরীকে ৬টি জোনে ভাগ করে চলাচল সীমিত করে বড় বাজারগুলোর ওপর চাপ কমানোর কথা ভাবছে নগর পুলিশ।
মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ বলেন, লালবাগ মোড়, সাহেবগঞ্জ রোড, উত্তম রোডসহ বেশ কিছু সড়ক কিন্তু ইতোমধ্যে আমরা বেরিকেড দিয়ে রেখেছি।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বাজার শিফটিংয়ের জন্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো করা সেগুলো করবে। তারপরেই শিফট অনুযায়ীই বাজার বসবে। রাতের বেলা পণ্য সংরক্ষণের সুবিধাসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর দুটি পয়েন্টে খোলা মাঠে শেড নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।