প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২০ , ১১:৪৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
সোমবার (২ নভেম্বর) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি।
সংস্থাটির দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবরে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগের মাসে এই আয় ছিল ২৪১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সেই হিসাবে অক্টোবরে পোশাক খাতের আয় কমেছে ৮ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর গেল বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই আয় ১৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার কম। গেল বছরের অক্টোবরে দেশের তৈরি পোশাক খাতের আয় ছিল ২৫১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের হিসাবেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আটকে গেছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এসময়ে এ খাতের মোট রপ্তানি আয় এসেছে ১০৪৫ কোটি ডলার। অথচ গেল অর্থবছরে একই সময়ে এই খাতের আয় ছিল ১০৫৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। সেই হিসাবে এবার আয় কমেছে ১.২ শতাংশ।
রপ্তানির সার্বিক চিত্রে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে দেশের মোট রপ্তানি আয় এসেছে ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। গত বছরের তুলনায় এই আয় ৪.০৮ শতাংশ কম।
তবে, গেল ৪ মাসের মোট হিসাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই আছে দেশের মোট রপ্তানি আয়। জুলাই থেকে অক্টোবর; এই চার মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় এসেছে ১২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার; করোনার ধাক্কা সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় এই আয় বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ (০.৯৭)। এমনকি এই গেল চার মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনাতেও দশমিক তিন আট শতাংশ বেশি।
রপ্তানি আয়ের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই পড়ে রয়েছে দেশের চামড়া শিল্প। গেল চার মাসে এই খাতটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০.৬৩ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে। গেল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখাতের রপ্তানি আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার; গত বছর একই সময়ে এখাতের আয় ছিল ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্লাস্টিক খাতও। গেল বছর এ সময়ে খাতটি থেকে আয় এসেছিল ৪ কোটি ১০ লাখ ডলার; এবার এসেছে ৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলার।
প্রধান প্রধান রপ্তানি খাতের বাজার হারানোর মধ্যেই পাট ও পাটজাত পণ্য দাপট বাড়িয়েছে বিশ্ববাজারে। গেল চার মাসে এই খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ (৩৯.৫২); এখাত থেকে আয় এসেছে ৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এই আয় এবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২০.৪৭ শতাংশ বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ বড় ধরনের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়েই চলছে বাংলাদেশের বাইসাইকেল। গেল অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাইসাইকেলে রপ্তানি আয় এসেছে যেখানে ৩ কোটি ২ লাখ ডলার এবার সেখানে এসেছে ৪ কোটি ২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এখাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩.১১ শতাংশ।
করোনাকালে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে ওষুধ শিল্পও। এ খাতের প্রবৃদ্ধি ১৯.৮৩ শতাংশ; গেল চার মাসে রপ্তানি হয়েছে ৫ কোটি ৬১ লাখ ডলারের ওষুধ। এই চার মাসে শুকনা খাবার রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৯.৬৭ শতাংশ, মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে হয়েছে ৩৫.৬৭ শতাংশ আর হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে গেল চার মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০৭.২৭ শতাংশ; মোট ৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয়েছে এ সময়ে।