রংপুর

রাণীশংকৈলে অতিথি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল

  প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৫:০৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

আশরাফুল আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) : চারদিকে সবুজের সমারোহ। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিশাল আকারের শিমুল গাছ। বিকেলের সোনালি রোদে শিমুলের ডালে ডালে পানকৌড়ির পালক জ্বল জ্বল করছে।

এ যেন পানকৌড়ির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। একটি গাছে একসঙ্গে এত পানকৌড়ি দেখে শত ব্যস্ততার মধ্যেও অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নিচ্ছেন। আর তা দেখে প্রাণ জুড়ায় ওই গাছের মালিক যাদব রায়ের। যাদব রায়ের বাড়ি উপজেলার শান্তিপুর হয়ে কাঠালডাঙ্গী যাওয়ার সড়ক ঘেঁষা কেউটান গ্রামে।

যাদব রায় বলেন, পাখি সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।আর এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত পাখিপ্রেমী শুধু পাখিই দেখতে আসে। এ দেখে ভালো লাগে। শীতের মৌসুম শেষের সঙ্গে সঙ্গে পাখিদের উপস্থিতিও কমে যায়। এক সময় ধীরে ধীরে শিমুল গাছ পাখি শূন্য হয়ে পড়ে। তখন বুকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে।

তবে স্থানীদের অভিযোগ, আগের মতো এবারে একটু কম দেখা মিলছে এই পাখিদের। কারণ ইদানিং কিছু মানুষ বন্দুক দিয়ে পাখিগুলো শিকার করছেন। পাখি শিকারে তাদের বারণ করা হলেও তারা কোন কথা শোনে না। কেউটান গ্রামের বাসিন্দা দুলাল বলেন, রাতে পাখিগুলো শিমুল গাছটিতেই থাকে। সকাল হলেই পাখিগুলো বেড়িয়ে পড়ে খাদ্যের খোঁজে। আবার সন্ধ্যা হলেই ফিরে আসে গাছটিতে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এই পানকৌড়ি পাখিগুলো শিমুল গাছটিকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে বাস করছে। এক সময় এ গাছটিতে প্রচুর পরিমাণে পাখি ছিল। কিন্তু পাখি শিকারীদের কারণে তার সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। পাখিদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

সাবেক অধ্যক্ষ ও পাখিপ্রেমী তাজুল ইসলাম বলেন, পাখিগুলোর কারণে ওই এলাকা সৌন্দর্য ফিরে পায়। পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রচুর ভূমিকা রাখে। তাই পানকৌড়ি পাখিগুলোর নিরাপত্তা সহকারে পরিচর্যা করলে পাখির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলকান জুলকার নাইন কবির বলেন, পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পাখিগুলোর নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনিক তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content