প্রতিনিধি ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ৮:১৫:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি : করোনার কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মাস। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তাই চিকিৎসার জন্য রাজশাহী ছাড়াও রংপুর ও খুলনা বিভাগের রোগীরাও ছুটে আসছেন এখানে।
দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালটি এখন রোগীতে ঠাসা। রোগীদের চাপে পা ফেলারও জায়গা নেই রাজশাহী মেডিকেলে। ওয়ার্ডের বেড ও মেঝে ছাপিয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বারান্দায় বারান্দায়। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, সক্ষমতার চেয়ে দ্বি-গুণ রোগী আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ওয়ার্ডে ভেতরে কোনো বেড ফাঁকা নেই। জায়গা নেই মেঝেতেও। তাই রোগীর সারি ছড়িয়ে পড়েছে বারান্দা ছাপিয়ে ভবনের খালি জায়গাগুলোতেও। নিজেরাই মাদুর বিছিয়ে বিছানা করে থাকছেন রোগীরা। একেকজন রোগীর সঙ্গে আছেন অন্তত দু’জন করে স্বজন। ফলে হাসপাতালের স্বাভাবিক চিত্রই এখন পাল্টে গেছে।
পাবনা থেকে আসা রোগী আব্দুস সালাম বলেন, তিন দিন আগে তিনি ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু বেড পাননি। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা এসে দেখে যাচ্ছেন। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারের দেখা পাননি। নাটোরের গুরুদাসপুরের রোগী আবুল হাশেম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি দুই দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু হাসপাতালে প্রচুর রোগী। এ কারণে বেড পাননি তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থেকে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন আলী হোসেন। তার অভিযোগ, হাসপাতালে বেড পাননি তাই কষ্ট করে বারান্দায় আছেন। কিন্তু এখানকার নার্সদের আচরণ খুব খারাপ। তারা রোগীদের মানুষই মনে করে না।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলছেন, ‘করোনার রোগীর চাপ থাকায় সাধারণ রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল কয়েক মাস। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। হাসপাতালে চিকিৎসা ও নানা ধরনের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার সুযোগও বেড়েছে। এ কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। তবে অবকাঠামো ও জনবল সংকটের কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
গেল ২০ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৭৪ জন রোগী। আর এক হাজার ২০০ বেডের বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন দ্বিগুণেরও বেশি।