দেশজুড়ে

রোয়াংছড়ি আবিষ্কার হলো কেএনএফ এর ৭ টি বাঙ্কার

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৫:০১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

রোয়াংছড়ি আবিষ্কার হলো কেএনএফ এর ৭ টি বাঙ্কার

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে দীর্ঘদিনের সহিংসতার পর  গত ৫ই নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা কে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে আলোচনা ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওই এলাকা গুলোতে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারো নতুন করে আলোচনায় আসছে কেএনএফ এর নাম।

সম্প্রতি জেলার রোয়াংছড়ি ঘুরতে আশা দুই জন প্রবাসী পর্যটকের অভিযোগ তাদের কাছ হতে বালু পাহাড় এলাকা হতে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় কেএনএফ সদস্যরা।এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ পারভেজ আলী বলেন কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ। 

এরই প্রেক্ষিতে এলাকায় টহল জোরদার করে সেনাবাহিনী,বৃহস্পতিবার (১১ই জানুয়ারি)  সকালে নিরাপত্তা টহল কালে রোয়াংছড়ি হতে ৩ কিলোমিটার দুরুত্বে বালু পাহাড় এলাকার পাহাড়ে কেএনএফ এর অবস্থান সনাক্ত করে সেনাবাহিনী,সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পাহাড়ের ঢালু বেয়ে পালিয়ে যায়,পরে উক্ত স্থানে অভিযেন আবিস্কৃত হয় ৭ টি বাঙ্কার। যেখানে কেএনএফ সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থান করছিলো এবং বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিলো বলে যানা যায়।

সরজমিনে বালু পাহাড় এলাকায় গেলে দেখা যায় ৭ টি পরিত্যাক্ত বাঙ্কার, যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদের রাত্রি যাপনে ব্যবহৃত কম্বল এবং গুলির কার্তুজ।

ধারণা করা হচ্ছে ঐ স্থান আসা যাওয়ার রাস্তা হতে উচু হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষের উপর যে কোন ধরনের হামলা চালানোর সুবিধার্থে এই বাঙ্কারে অবস্থান নিয়েছিল পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সদস্যরা।

এ বিষয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির অন্যতম সদস্য রেভা পাকসীম বি.ত্লুং জানান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখোমুখি বৈঠকের পর এলাকায় বসবাসকারী সকলে খুবই আনন্দে দিন কাটাচ্ছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যি দুঃখ জনক,তিনি জানান এ বিষয়ে বম স্যোশাল কাউন্সিল এর সভাপতি লালজার লম বম এর মাধ্যমে কেএনএফ প্রধান নাথান বম এর সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

এলাকায় নতুন করে কেএনএফ আতংকের বিষয়ে পাইখং পাড়া কারবারি বৈথাং বম বলেন দীর্ঘ এক বছরের সহিংসতার অবসান হয় শান্তি আলোচনার মাধ্যমে, নতুন করে কেএনএফ এর এ ধরনের কর্মকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।

এ বিষয়ে বম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি জেমস লাল থার ঙাক বলেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যি দুঃখজনক। আমরা চাই সহিংসতা পরিহার করে একে অপরের মাঝে বন্ধন রেখে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় শান্তিতে বসবাস করতে চাই।

আরও খবর

Sponsered content