প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৪ , ৭:৩১:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লংগদু উপজেলার শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
লংগদু উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো. নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মাইনীমুখ ইউনিয়ন (পুর্ব) আমীর মোঃ শিহাব উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ মানছুরুল হক।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন খ ম মতিউর রহমান, মঞ্জুরুল হক ও আব্দুল জব্বারসহ উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে গিয়েছিল। দেশ ও জাতি পেয়েছিল নতুন দিশা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনার ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনা সদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন এবং নিজেকে সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ৬ নভেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান।
ওই রাতেই সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে। সিপাহি-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে ৭ নভেম্বর সকালে কয়েকজন অনুসারীসহ প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। এই পটপরিবর্তনের পর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে।