প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২০ , ৭:১০:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শাইদুল ইসলাম পলাশ: ভোলা জেলার চার দিক নদী বেষ্টিত। করনা রোগিদের জেলার হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকয় পাঠানো হয়। নেই কোন ভাল চিকিৎসা সেবা। করোনা আতঙ্ক এ জেলার মানুষের মনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরীরহাট, মতিরহাট, আরেকজান্ডারসহ কয়েকটি নৌপথ দিয়ে ভোলায় ট্রলারযোগে মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে আসছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ ট্রলারে আসছে এসব মানুষ। প্রশাসনের উচিৎ এক্ষুনি শক্ত ভমিকা গ্রহণ করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। ভোলার সাংবাদিক ও সচেতন মহল এ নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ণন করে আসছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ যাত্রী নিয়ে ৩টি ট্রলার ইলিশা ঘাটে আসলে পুলিশ এসময় ট্রলারের মালিক ও চালকসহ ৪ জনকে পুলিশ আটক করে। পরে সকালে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সংক্রামন রোগ নিয়ন্ত্রন আইনে ট্রলার মালিক ও চালকদের ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জব্ধ ট্রলারগুলো পুলিশ ও ইউপি মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়। এ নিয়ে ভোলার জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। তবুও নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন ই বহু মানুষ জেলায় প্রবেশ করছে। অভিযোগ রয়েছে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেনের নির্দেশে তার ভাগ্নে মোঃ জাবেদ অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। যানা যায় পুলিশের হাতে আটক হওয়া ৩টি ট্রলার এর জাবেদেরই।