প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২০ , ৫:০২:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
মোহাম্মদ হাছান, চন্দ্রগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন ১২নং চরশাহী ইউনিয়নে অবস্থিত বসুরহাট টক্কারপুল থেকে নতুনহাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা গত তিন বছর থেকে৷নোয়াখালী- লক্ষ্মীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় এই সডকটি দু’জেলার সঙ্গে সংযোগে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ তবে সংস্কারের অভাব, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়৷
দীর্ঘ তিন বছর ধরে ভাঙা ও খানা-খন্দকে ভরা সড়ক দিয়ে রিকশা-ভ্যান, অটো ও সিএনজি, বাস ও ট্রাক চালকরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে এ অবস্থাতেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-(এলজিইডি) উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়কটির দু’পাশে রয়েছে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক৷ পূর্ব সৈয়দপুর, রামপুর, তিতারকান্দি, জালিয়াকান্দি, ইটখোলাসহ বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণের একমাত্র যোগযোগের সড়ক এটি৷
পূর্ব সৈয়দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবার জন্য আসা গর্ভবতী এক নারী জানান, ভাঙা ও খানা-খন্দকে ভরা সড়কের কারনে সেবা গ্রহণে আসতে অনেক কষ্ট হয়৷ শুধু তাই নয় এ অঞ্চলের মানুষ অসুস্থ হলে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে গেলেও বর্তমানে তা কঠিন হয়ে গেছে৷
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোলাইমান এবং মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালন করায় সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার তিন-চার মাসের মধ্যে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠতে থাকে।
১২নং চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ছোট-বড় খানাখন্দকে ভরে গেছে। ফলে জনগণ সবসময় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি দ্রæত সংস্কার করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নিকট দাবি জানান তিনি ৷