প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩:৩৫:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
রামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ফতেহপুর ও পানপাড়া বাজার সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে নির্মিত চারটি যাত্রী ছাউনিই প্রভাবশালী মহল দখল করে নিয়েছে। দখলকৃত চারটি যাত্রী ছাউনির তিনটি জেলা পরিষদ ও একটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃক নির্মিত হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, হাজিগঞ্জ, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষজন প্রতিনিয়ত যাত্রীবাহী পরিবহন হিমালয়, হিমাচল, নীলাচল, আলবারাকা ও জননী পরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়ত করে। কিন্তু শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনিটি একটি প্রভাবশালী মহল জবর দখল করে গাড়ি মেরামতের বিভিন্ন সরঞ্জাম রেখে ওয়ার্কশপ তৈরি করে রেখেছে। এ ছাড়া রামগঞ্জের সোনাপুর কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন যাত্রী ছাউনি স্থানীয় একটি মহল দখল করে যাত্রীদের বসার পাকা বেঞ্চ ভেঙে ফেলে ভেতরে ইট বালুর স্তুপ রেখে দখলে রেখেছে।
শুধু তাই নয় এ যাত্রী ছাউনির ছালের টিনগুলো কে বা কারা খুলে নিয়ে যায়। উপজেলার ফতেহপুর সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনি একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় অফিস বানিয়ে দখলে রেখেছে। পানপাড়া বাজারের যাত্রী ছাউনি একটি মহল দখল করে ফার্নিচারের দোকান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। এ বিষয়ে একাধিকবার বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও জেলা পরিষদ ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তৃপক্ষ দখলকৃত যাত্রী ছাউনিগুলো উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ ব্যাপারে পৌর, উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে জানানোর পরও তারা যাত্রী ছাউনিগুলো দখলমুক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যাত্রীরা প্রখর রোদে ও ঝড়-বৃষ্টিতে যাত্রীরা ছাউনির অভাবে চা দোকান, সড়কের পাশে ফুটপাতে যানবাহনের অপেক্ষায় প্রতিনিয়ত দাঁড়িয়ে থাকেন
যাত্রী ছাউনিগুলো দখলের ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ শাহ জাহান জানান, আমাদের নির্মাণকৃত যাত্রী ছাউনিগুলো অন্যদের দখলে আছে এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। দখলকৃতদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিদ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।