দেশজুড়ে

লালমোহনের রিতু হত্যার আসামীরা প্রকাশ্যে, বিচার নিয়ে শঙ্কায় পরিবার

  প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২৪ , ৫:৪২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

লালমোহনের রিতু হত্যার আসামীরা প্রকাশ্যে, বিচার নিয়ে শঙ্কায় পরিবার

 মেয়েকে হত্যার বিচার পাননি পরিবার। এদিকে মামলার আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাশ্যে। ফলে বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন মেয়ের বাবা ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ফজলু ও কুলসুম দম্পতি। 

ফজলু জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে মেয়ে রিতু (২০) কে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুলতান মুন্সি বাড়ির আবুল কালাম এর ছেলে মো: নকিব এর সাথে বিয়ে দেন। রিতু শশুর বাড়িতে থাকলেও স্বামী ঢাকায় থাকতেন, সেখানেই থাকতেন তার চাচাতো দেবর নকিব। ফলে বাড়িতে নকিবের স্ত্রী তামান্নার সাথে রিতুর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা তামান্নার শশুর বাড়ির কারোই পছন্দ ছিলনা।

রিতুর বাবা আরও বলেন, এরই জের ধরে চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রিতুকে কৌশলে ঘরে ডেকে নেয় তামান্নার শশুর বাবুল। পরে বাবুল, শাকিব, রাকিব, কামাল, জনয়ব,খতেজাসহ কয়েকজন মিলে রিতুকে ব্যাপক মারধর করে। এতে তার মৃত্যু হলে রিতুর নিজ ঘরে এনে আঢ়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে তারা।

রিতুর মা কুলসুম জানান, খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি রিতুর ডান হাতের কব্জি ও বাম পা ভাঙ্গা।কপালে রক্ত জমাট এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। একই অভিযোগ করে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন রিতুর শ্বশুর আবুল কালাম ও স্বামী নকিব। গত ২২ সেপ্টেম্বর বোরহানউদ্দিন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান নকিব, মামলা নং- এম.পি ২৬৩/২৪ (বোর:)।

আলাপকালে একই বাড়ির কাশেম, খাদিজা, প্রতিবেশী রিনা ও বাবুল জানান, রাতে তামান্নার সাথে দেখা করায় তামান্নার শশুর বাবুল ও শাকিব রিতুকে গালিগালাজ করতে শুনেছি। 

অভিযুক্ত তামান্না বলেন, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে রিতু আমার ঘরে আসে এবং ১২টার দিকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বাহিরে আমার শশুরকে গালিগালাজ করতে শুনেছি। পরে ভোর রাতে রিতুর শ্বশুরের চিৎতকার শুনে গিয়ে দেখি রিতু আঢ়ার সাথে ঝুলে আছে।          

এ বিষয়ে তামান্নার শশুর বাবুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  এস.আই জিএম শাহাবুল বলেন, রিতুর স্বামী আদালতে একটি হত্যা মামলা করে করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বলা যাবে এটি কি হত্যা না আত্মহত্যা।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।

আরও খবর

Sponsered content