প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:২৬:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ৫০ শিশুসহ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৮ জনে। এতে আহত হয়েছেন এক হাজার ৮৩৫ জন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদের উদ্ধৃতি দিয়ে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, ‘এখন পর্যন্ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৫০ শিশু ও ৯৪ নারীসহ ৫৫৮ জনের মৃত্যু রেকর্ড করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান স্পষ্টত ইসরায়েলের দাবিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। তারা বলেছিল যে তারা কেবল যুদ্ধ বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করছে। দুর্ভাগ্যবশত, সত্য হলো যে গতকালের হামলায় নিহতদের সবাই না হলেও বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিরস্ত্র, যারা তাদের বাড়ি-ঘরে নিহত হয়েছে।
এ হামলায় মোট ১৮৩৫ জন আহত হয়েছেন, যারা ৫৪টি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আবিয়াদ বলেন, মঙ্গলবার সীমান্তের কাছে বিনতে জবেল হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ১৬ জন জরুরি কর্মী এবং দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুইদিন হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার ও ওয়াকিটকিতে (বেতার যোগাযোগ যন্ত্র) একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়। আহত আরও তিন হাজারের বেশি। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। যদিও তেল আবিব এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এ দুইটি ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহ। এতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এই হামলার জবাবে পরদিন শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েল লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলসহ অন্তত ৪৫ জন নিহত হন। পরদিন শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে লেবাননে আবারও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে চার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ফেলা হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। জবাবে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ইসরায়েলের হাইফা শহরের পূর্বে ‘রামাত ডেভিড’ নামে একটি বিমান ঘাঁটিতে কয়েক ডজন রকেট ছোড়ার দাবি করে হিজবুল্লাহ।