প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৪ , ৩:৪০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) এই হামলা চালানো হয়। বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতেও ওইদিন সন্ধ্যায় কয়েকদফা হামলা করেছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় বেক্কা উপত্যকা ও বালবেক শহরে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৩ জন।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে গত এক বছর ধরেই সংঘাতে জড়িয়ে আছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলে হামাস ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। সেপ্টেম্বর থেকে এর তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
দেশটির রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই এলাকায় হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে হামলার আগে সতর্কতামূলক নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। সেখান থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। কিন্তু বেসামরিক মানুষ সরে যাওয়ার আগেই হামলা শুরু হয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বুধবার রাতে কয়েক দফা হামলা চালানোর পর বৃহস্পতিবার সকালেও আরেক দফা হামলা করেছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
লেবাননের আল-জাদিদ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অন্তত চারটি হামলা হয়েছে। তবে হামলায় হতাহতের কোনও তথ্য জানানো হয়নি।
এদিকে, হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাইম কাশেম বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে এই সংঘাতের অবসান সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। ইসরায়েল হামলা চালানো বন্ধ করলেই কেবল মধ্যস্থতার একটি সম্ভাবনা উন্মোচিত হতে পারে।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর সংঘাত বন্ধে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোলে সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি হামলায় গত একবছরে লেবাননে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই শেষ ছয় সপ্তাহে নিহত হন।