চট্টগ্রাম ব্যুরো : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:১৩:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গত বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোলোজি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আচেন। শাটলের ছাদ থেকে গাছের ডালের সাথে সংঘর্ষে তার চোয়াল ভেঙ্গে যায়। গত সোমবার ১০ সেপ্টেম্বর নাক, কান, গলা বিভাগের ১০৩ নম্বর রুমে তার চোয়ালের অপারেশন করানো হয়। অপরাশনের আগে পরে তাদের সাথে রূঢ় আচরণের অভিযোগ করেছেন আবু সাঈদ।
গুগল নোটে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা খেলাটিতে আবু সাঈদ লিখেন, “আজকে সার্জারী করাইছে স্টুডেন্ট দিয়ে যারা ঠিকমতো অপারেশন করতে পারেনি। প্রচুর ব্যথা অনুভব করছি। পুরা মরে গেলেও এর চেয়ে কম কষ্ট পেতাম। বলেছিলো স্পেশালিস্ট ডেন্টিস্ট দিয়ে অপারেশন করাবে। দুইবার তিনবার করে সেলাই করছে। গরুর মতো আচরণ করছে। এখন পেইন হচ্ছে। অপারেশনের আগে একজন চলে গেছে ক্লাস করতে, আরেকটা আপু এসে আরো বাজে আচরণ করে বলেছে, “শাটলে নাকি মারামারি করেছি, এখন ব্যাথা পেতে হবে। সহ্য করে থাকতে হবে। মারামারি করার সময় চিন্তা করিনি, এখন কেঁদে লাভ কী“।
শাটল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ, ভিসির বাসভবন ও ট্রান্সপোর্টে থাকা প্রায় অর্ধ শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনার জন্যই চমেকে চিকিৎসারত শিক্ষার্থীকে অপারেশন থিয়েটারে অপারেশনের সময় পেইন দেওয়া হয়েছে বলে গুগল নোটে লিখে তার সহপাঠীদের নিকট অভিযোগ করেছে আবু সাঈদ।
সাঈদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণের বিষয়ে বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান জয় ভোরের দর্পণকে বলেন, হাসপাতাল হচ্ছে রোগীদের জীবন বাঁচানোর জায়গা। একজন রোগীর সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, কিভাবে সেবা প্রদান করতে হয় সেটা ওইসব ডাক্তারদের জানা উচিত। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে যদি তারা এ ধরনের আচরণ করতে পারে, তাহলে সাধারণ জনগণের সাথে কি ধরনের আচরণ করে তা সহজেই অনুমেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আহতদের যেভাবে দেখাশোনা করছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এসব ডাক্তারদের জন্য। আমরা মনে করি, এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।