প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ৪:০৫:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মতিন রহমান বকশীগঞ্জ(জামালপুর)॥ আমি বাঁচতে চাই,দয়া করে আমাকে বাঁচান। এমন আকুতি বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী নিশাতের। কিডনি রোগে আক্রান্ত ছোট্ট নিশাতের চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ। সমাজের বিত্তবান মানুষের নিকট আর্থিক সাহায্যর মাধ্যমে বাঁচার আবেদন জানিয়েছে নিশাত ও তার পরিবার।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর গ্রামের হত দরিদ্র সমজ উদ্দিনের ছেলে মেধাবী ছাত্র নিশাত (১৩)। পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিলো নিশাত। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। গরীব বাবা মায়ের অভাব অনটনের সংসার হলেও পড়াশোনা আর হাসি খুশিতেই সময় কাটছিলো তার। সবার ছোট বলে পরিবারে তার আদর একটু বেশিই ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই নিশাতের জীবনে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার। তার শরীরে পানি ধরে। অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে নেয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান নিশাত কিডনি রোগে আক্রান্ত। তার দুটি কিডনিই বিকল। অভাবী সংসারে নিশাতের চিকিৎসা করা অসম্ভব। তবুও দরিদ্র পিতা ধার দেনা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যায় করেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। অর্থাভাবে একমাস যাবত চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে নিশাতের। ফলে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে নিশাতের জীবন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে তার পরিবার। সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দরিদ্র বাবা সমজ উদ্দিন।
নিশাতের বড় ভাই ফেরদৌস মিয়া জানান, নিশাতের উন্নত চিকিৎসা করতে বলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অর্থাভাবে তা করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নিশাতের অসহায় পিতা সমজদ্দি বলেন বসত ভিটে ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আমার কিছু নেই। ছেলের কষ্ট সহ্য হয়না। তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন। নিশাতের বাবার মোবাইল নাম্বারঃ- ০১৯৪৫৮৫৯৯০৬।