প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:২৮:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা সুসংহত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের সংবিধান ও আইন মেনে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে সরকারের সকল কার্যক্রম।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ভিশনারি নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংঘটিত অপরাধসমূহ দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে দেশে দেশে ডিজিটাল আইন প্রণীত হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি কিংবা ভিন্ন মত দমন এই আইনের লক্ষ্য নয়। বিএনপি যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে রাষ্ট্র এবং জনগণের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেনাতন্ত্রের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের অভিযাত্রা এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তা বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সেসব অপতৎপরতা বিচার-বিশ্লেষণ করেই মহামান্য আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সূত্র : বাসস