প্রতিনিধি ৫ মে ২০২০ , ৯:১১:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি : বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে “দুঃস্থ কৃষকের পাশে আমরা আছি শেরপুর জেলা প্রশাসন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৫ মে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নামা শেরীরচর গ্রামে জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে দুঃস্থ কৃষকদের ভর্তুকি সহায়তা হিসেবে জমির পাকা বোরো ধান যান্ত্রিক উপায়ে (হারভেস্টর) এর মাধ্যমে ধান কেটে কৃষি সহায়তা প্রদান করা হয়।
শেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহিদ কুমার দে’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব সদর উপজেলার নামা শেরীরচর গ্রামে যান্ত্রিক উপায়ে কম্বাইন হারভেস্টরের মাধ্যমে ধান কাটা প্রত্যক্ষ করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় কৃষকের পাশে আছেন। তাই শেরপুর জেলার দুঃস্থ কৃষকদের পাশে কৃষি সহায়তা দিতে জেলা প্রশাসন সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে একদিকে শ্রমিক সংকট, অন্যদিকে আর্থিক অনটনে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে না পারায় বোরো মৌসুমে জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে এসব গরীব ও দুঃস্থ কৃষকদের পর্যায়ক্রমে যান্ত্রিক উপায়ে ধান কেটে দেয়া হবে বলে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এমনটাই জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ৪ জন কৃষকদের মধ্যে নামা শেরীরচর গ্রামের দুঃস্থ কৃষক মজিবর রহমানের ৩৩ শতাংশ, কৃষক মুসলিম উদ্দিনের ৩৩ শতাংশ, কাজীরচর গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম মিয়ার ২৫ শতাংশ ও হাতিআগলা গ্রামের প্রতিবন্ধী কৃষক শাহিন মিয়ার ৩৫ শতাংশ খেতের পাকা বোরো ধান যান্ত্রিক উপায়ে কম্বাইন হারভেস্টরের মাধ্যমে কেটে দেয়া হয়। এসময় কৃষক মজিবর রহমানের ধান কেটে দেয়ায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম এহছানুল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফায়েল আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নমিতা দে, উপজেলা কৃষি অফিসার পিকন কুমার সাহা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিএম সাদিক আল শাফিন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মোঃ মজিবর রহমানসহ কৃষক-কৃষাণী ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।