প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২০ , ৭:৪৩:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি: শনিবার সকাল ১১ টায় শেরপুর বনগাঁও -জামালপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার নন্দীর বাজার নামক স্থানে দুইটি কজওয়ের উপর সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপন কালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নি¤œ মানের কাজের অভিযোগ শুনে সরকার দলীয় হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক সরজমিন নির্মাণ সামগ্রী পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে ১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি ব্রিজের কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে উদ্বোধন শেষে হুইপ আতিক সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নি¤œমানের পাথর সহ নির্মান সামগ্রি অপসারন এবং কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
অভিযোগ আছে মেসার্স মোজাহার এন্টার প্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এর ঠিকাদার শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব ও সাব-এ্যাসিস্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার আজাহারুল ইসলাম আজাদের এর যোগ সাজেসে শুরু থেকেই ব্রীজের পাইলিং এর কাজে নি¤œ মানের লোকাল মরা পাথর ও সাবেক রাস্তার ঢালাই উঠিয়ে খোয়া তৈরী করে কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় স্থানিয় এলাকাবাসী ও স্থানিয় সংবাদকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে হুইপ আতিক নিজে পাথর ও খোয়া পরিক্ষা করে অনিয়মের প্রমান পেয়ে কাজ স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করলে নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করে দেন। শেরপুর সড়ক বিভাগ জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে ৪০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫২ মিটার দৈর্ঘ দুটি কজওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে সড়ক বিভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার পানি প্রবাহিত হলে বছরের তিন মাস শেরপুর- জামালপুর মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। দুটি কজওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে রৌমারী, রাজিবপুর, বকশীগঞ্জ ও শেরপুর জেলা শহর থেকে জামালপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হয়ে উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণা লের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
হুইপ আতিক ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন কালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমাবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার এই করোনা মহামারির সময়েও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। তিনি সরকারি অর্থ দিয়ে নির্মিত এই কজওয়ে সেতুতে যাতে কোন অবস্থায় দূর্নীতি না হয় সে ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকার আহŸান জানান।
এ ব্যপারে মোজাহার এন্টার প্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এর ঠিকাদার প্রতিনিধি শামিম মিয়া জানান, এলসি পাথর না থাকায় সিলেট এর পাথর তারা ব্যবহার করছেন, তবে পুরাতন রাস্তা ভেঙ্গে খোয়া ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন। এ দিকে কাজের অনিয়ম নিয়ে শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব বলেন, আমরা এই সব নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রি ব্যবহার করতে দিবোনা এবং তার সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন যোগসাজেস হয়নি এমনটাই দাবী করে বলেন, আমরা সাইটে রাখা সকল পাথর বাতিল করবো।