প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:২৬:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ক্ষমতা ছাড়ার আগ মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বেপরোয়া হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা করে সতর্ক করেছেন বিশেজ্ঞরা। বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই তেহরানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে বেশ হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ইরান। এ অবস্থায় ওয়াশিংটনও পাল্টা সতর্ক করে আসছে রুহানি সরকারকে। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, যে কোনো সময়ে ইরানে কাপুরুষোচিত হামলা চালাতে পারেন ট্রাম্প।
আগুনে ঘি ঢেলে সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান বি-৫২ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইল এবং সৌদি আরবের মিত্র দেশগুলোকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। বলছিলেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ও অঞ্চল গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ড্যানি পোস্টেল।
অন্যদিকে ইরান ও মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বিশেষজ্ঞ পোস্তেল আল জাজিরাকে এক সাক্ষাত্কারে জানান, ‘খেলার শেষ দৃশ্যে ট্রাম্পকে খুবই আহত এবং খুব কোণঠাসা প্রাণীর মতো দেখাচ্ছে। ক্ষমতা ছাড়ার আর কিছুদিন বাকি। তার দ্বারা যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ সম্ভব। হতে পারে, তার সময়ে সবচেয়ে বেপোরায় আঘাত হতে চলছে।’
এর আগে শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র টেনে বলেন, হামলার বিষয়ে বিদায়ী ট্রাম্পকে উসকে দিচ্ছেন ইসরাইলের এজেন্ট। যদিও এর যথার্থ প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি। ট্রাম্পকে ফাঁদে পড়া থেকে সতর্কও করেন জারিফ।
(৩ জানুয়ারি) রোববার সোলাইমানির হত্যার বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলে জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইরান যুদ্ধে বিশ্বাসী নয়, সবার আগে নিজ দেশের নাগরিকের নিরাপত্তা। জনগণের সুরক্ষার্থে যে কোনো বিপদ মোকাবিলায় তেহরান প্রস্তুত।
একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের বেপরোয়া সামরিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এক চিঠিতে অবগত করে নিন্দা জানায় দেশটি।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র সোলাইমানিকে হত্যার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘোলাটে হয়েছে। ইরানও হত্যার বদলা নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। এত কিছুর মধ্যে আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার হাতবদল হতে চলছে। সেই পর্যন্ত কী ঘটতে যাচ্ছে তা নির্ভর করছে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপর।