প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪:১৬:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
চাকুরী প্রার্থী ও পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অর্ধশতাধিক পোশাক কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে পাহাড়া বসিয়ে ভেতরে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের এবং বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত হওয়ায় অর্ধশতাধিক কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করতে বাধ্য হন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শিল্প পুলিশ জানায়, সকাল থেকে প্রতিদিনের মত কারখানায় কাজে যোগদান করে শ্রমিকরা। তবে কারখানায় ঢুকে কাজ না করে বলেন ভিন্ন দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। অধিকাংশ কারখানায় এ বিক্ষোভ শুরু হলে একের পর এক কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখা কারখানা গুলোর সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এরপরে ওইসব কারখানাও ছুঁটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় শ্রমিকরা বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে নেমে অবরোধ করে রাখে। সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক কারখানা কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করা হয়।
সকাল ১০ টার দিকে আব্দুল্লাহ্পুর-বাইপাইল সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কারখানা ছু্টি ঘোষণা করা হলেও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এতে করে সড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ি, মূজারমিল, জিরানীবাজার সহ বিভিন্ন পয়েন্টে চাকুরী প্রার্থী ও বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া চক্রবর্তী এলাকার নরবান কমটেক্স কারখানার সামনে শত শত শ্রমিক বিক্ষোভ করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এসময় বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্প পুলিশ।
এছাড়া, জিরানী বাজার, টেংগুরী গোহাইলবাড়ি ও মেশিনপাড় এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে পাহাড়া বসিয়ে ভেতরে উৎপাদন অব্যাহত রাখেন।
এবিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জিরাবো এলাকা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে হামীম, শারমীনসহ অন্তত ৬০ টি কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শ্রমিকরা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকরা এখনো সড়কে রয়েছেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।