ঢাকা

শ্রীপুরে টেংরা বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা

  প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:২৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা নছর উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারদিকে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার বলেন, সাবেক এমসিএ ছফির উদ্দিন ৩৩ শতক জমি দান করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে কবরস্থান রয়েছে তবে কবরস্থানের জন্য নিদিষ্ট আলাদা কোন জমি রেজি:ষ্টী করে ওয়াকফ দেয়া হয়নি যা আমার জানা নেই। তবে একটি পক্ষ ইব্রাহিম মাহমুদ ও আবুল কাশেম রাব্বানী চাচ্ছে বিদ্যালয়ের কবর স্থানের জমিসহ সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য। সাবেক এমসিএ ছফির উদ্দিন ৩৩ শতক জমি নির্দিষ্ট ওয়াকফ করে দেন। ৩৩ শতাংশের বেশী বাউন্ডারী করা আমাদের এখতিয়ার নেই। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ৩৩ শতক জমি মাফ ঝোক করে সিমানী নির্ধারন করে দেয়া হয়। তার পর থেকে বাউন্ডারী নির্মাণের কাজ চলতে থাকে। তিন দিকের কাজ প্রায় শেষ হলে দক্ষিন দিকের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে তারা বাঁধা প্রদান করে। দাতা মরহুম সাবেক এমসিএ ছফির উদ্দিনের কন্যা রৌশনারা বলেন, আমার বাবা বিদ্যালয়ের জন্য আলাদা ৩৩ শতক জমি ওয়াকফ করে লিখে দিয়েছেন। কবরস্থানের জন্য আলাদা কোন জমি ওয়াকফ করে দেননি। অহেতুক কবরস্থানসহ বিদ্যালয়ের জমি কেন সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে? শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মকবুল হোসেন জানান, প্রথমে মিউচুয়ালের মাধ্যমে কবরস্থানসহ ৩৩ শতক জায়গা দেখানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী সরকারী রুল মানতে গিয়ে কবরস্থানের জায়গা বাদ দিয়ে বাকী অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু হয়। নির্মাণের মধ্যবর্তী সময়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ ব্যপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান,বিদ্যালয়ের সিমানা নির্মাণের বাঁধার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content