প্রতিনিধি ৮ মে ২০২০ , ৪:২৫:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরে শ্রীপুরে এক মানষিক প্রতিবন্ধির জমিতে জোড় করে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে দখল করার অভিযোগ উঠছে। বাঁধা দেয়ায় মানষিক প্রতিবন্ধি সানোয়ার হোসেন (সানু পাগলা) ভাইকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। শুধু মারধর করে ক্ষান্ত হয়নি প্রতিপক্ষরা বরং উল্টো নিজেদের লাকড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে দাবী করছে সানু পাগলার ভাই সাখাওয়াত হোসেন। পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সানু পাগলার ভাই সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে ৭জন কে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার মহসিন খন্দকার (৫৫),খোরশেদ খন্দকার (৪৫),আবুল হাসান খন্দকার (৪০),তরুন খন্দকার (৩৫),মাসুম খন্দকার (৩০),আহাম্মদ আলী (৪০) ও সোহেল (৪০)সহ অজ্ঞাত আরো৮/১০জন।
থানার মামলা সুত্রে ও সানু পাগলা ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমাদের প্রতিপক্ষ হাসান খন্দকার র্দীঘদিন ধরে অহেতুক বিভিন্ন বিষয়াধী নিয়ে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির প্রাপ্য আমার ভাই মানষিক প্রতিবন্ধি সানোয়ার হোসেন (সানু পাগলার) জমিতে রাতের আঁধারে জোড় পূর্বক মাটি কেটে ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে। আমি খবর পেয়ে সকালে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাঁধা দিলে হাসান খন্দকার তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দা লাঠি, লোহার রড দিয়ে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে জখম করে। লাঠির আঘাতে আমার বাম হাতের একটি আংগুল ভেঙ্গে যায়।
এ সময় পতিপক্ষের লোকজন আমার স্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণের গলার চেইন, হাতের বালা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের জমি থেকে রাস্তা নির্মাণ করার পর তারা তাদের অরক্ষিত একটি ঘরে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমরা বিষয়টি অধিক তদন্ত করে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত হাসান খন্দকার বলেন জমিটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, এখানে আগেই একটি চলাচলের রাস্তা ছিল, রাস্তাটি নতুন করে মাটি কেটে বড় করা হয়েছে এটা নিয়ে আমাদের দু–পরিবারে দন্দ্ব। তবে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শ্রীপুর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ (ওসি) লিয়াকত বলেন, মারধরের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। অপরপক্ষ মামলা করেছেন। দু–পক্ষের মামলাটি তদন্ত চলছে। উভয় পক্ষের আসামীরা পলাতক রয়েছে, তাদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।