প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৬:২৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের উপর কয়েক যুগ ধরে চলা নানা বৈষম্য ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের অন্য ৬১ টি জেলায় বসবাসকারী জনসাধারণের সম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে এবং পাহাড়ে বাঙ্গালীদের উপর চলমান বৈষম্য নিরষনে ৮ দফা দাবিতে আগামী সোমবার (১৩ই অক্টোবর) বান্দরবান জেলা সদর সহ সকল উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৯ই অক্টোবর) জেলা সদরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাজর মজিব বলেন আপনারা জানেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা বাঙ্গালী সম্প্রদায় যুগের পর যুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
তাই, আমাদের সাংবিধানিক ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ৮ দফা দাবিতে আগামী ১৩ই অক্টোবর ২০২৫ইং রোজ সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে বান্দরবানে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করছি।
এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের জানান সংগঠনের সিদ্ধান্তে পর্যায়ক্রমে রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতেও আমরা হরতাল পালন করবো।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ঢাকা হরতালে,ক্ষুদ্র, কলেজ, সরকারী অফিস-আদালত, সরকারী কর্মকর্তাদের গাড়ি,এ্যাম্বুলেন্স, খাবারের দোকান,ঔষধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও চলাফেরা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ,সরবরাহের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এদিকে তিন পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী বাঙালী জনসাধারণের স্বার্থে, অধিকার বাস্তবায়নে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৮ দফা দাবীতে বলা হয়,ব্রিটিশ রচিত প্রহসনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলার শাসন ব্যবস্থা চালু করা,জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকুরী, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল করা,৬১ জেলার ন্যায় রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা,বাজার ফান্ড প্লটের লীজের মেয়াদ- ৯৯ বছরে উন্নীত করা ও বন্ধ রাখা ব্যাংক ঋণ পূণরায় চালু
করা,উন্নয়নের স্বার্থে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পরিবেশ বান্ধব ইটের ভাটাসহ কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি চালু করা,আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যহারকৃত ২৪৬টি সেনাক্যাম্প পূনঃস্থাপন করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তিন পার্বত্য জেলায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, চাকুরী সহ সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার প্রদান ও ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠা করা ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জেলা নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাহজালালসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

















