প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:৩৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়ের ডুমদিয়া গ্রামের রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে প্রতিবেশী ইবাদত গাজী। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সংশয় ও ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। ভুক্তভোগী এমদাদ গাজী বলেন, ইবাদত গাজী আমাদের প্রতিবেশি এবং সর্ম্পকে চাচতো ভাই। সে গত মাসে আমাদের বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে কয়েকজন লোক নিয়ে বেশ কয়েকটি গাছ কেটেছে এবং সেখানে তিনি পানির ট্যাঙ্ক করার জন্য কাজ করছেন। সরকারি রাস্তার গাছ কাটছে কেন? এ কথা বলার পর সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে জানাই। গত রোববার (৩০ আগষ্ট) আমি এবং আমার বাবার নামে আদালত থেকে সমন এসেছে তারপর আমরা জানতে পারলাম ইবাদত গাজী আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। আমরা এই মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে রেহাই চাই। ওই গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আঃ সাত্তার (চুন্নু) গাজী (৭১) বলেন, ইবাদত ও তার স্ত্রী মামলাবাজ। বিগত ১০-১২ বছর এলাকার অনেক লোকের বিরুদ্ধে সে মামলা করেছে। আবার টাকার বিনিময়ে মামলা মিটিয়ে ফেলেছে। তাকে এলাকার লোক এখন মামলাবাজ নামেই জানে। ওই গ্রামের হফেজ মনির গাজীর স্ত্রী শিখা বেগম (৪০) বলেন, আমার জায়গা থেকে পানি তার গায়ে ছিটে যাওয়ার কারনে সে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছিলো। পরে আমরা সাত হাজার টাকা দিয়ে তার সাথে মিমাংসা করি। বুধবার বেলা ১১ টায় উরফি ইউনিয়নের ডুমদিয়া উত্তরপাড়ার গাজী বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ ইমদাদ গাজী। এ বিষয়ে ডুমদিয়া ইউনিয়নের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা কাজী ফজলুল হক বলেন, গাছকাটা ও সরকারি জায়গায় কাজ করার একটা অভিযোগ এসেছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সার্ভেয়ার এনে ওই জায়গা পরিমাপ করে তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এ বিষয় ইবাদত গাজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেকথা গুলো উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে পূর্ব থেকে তারা অত্যাচার করে আসছে । যা গ্রামবাসীর সাথে কথা বললে আপনারা জানতে পারবেন।