প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২২ , ৬:১৩:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন তখন সুষ্ঠু হবে যখন নির্দলীয় সরকার গঠন করা হবে। সেই লক্ষ্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির আন্দোলনে গুম,খুন হওয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফৎ আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বক্তব্য দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধভাবে টিকে থাকার জন্য ২০১৪ সালে প্রতিদ্বন্দ্বীহীন নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে মিড নাইট নির্বাচন করেছে। এইবার একটা অন্য ধরনের পরিকল্পনা তাদের আছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই একটি দুর্যোগ। দুর্যোগ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন। দুর্যোগ বলেই তো খুন গুমের পরিবার এখানে উপস্থিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন গুমের সংখ্যা বাড়বে। ক্রসফায়ার সংখ্যা বাড়বে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটবে। কারণ এই ধরনের সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখার জন্য এমন কোন হীন ও পাশ্ববিক কাজ নাই যা তারা করবে না।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা যদি সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক সরকার হতো, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো তাহলে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মী দুনিয়া থেকে চলে যাবে কেন? তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে না কেন? তারা নিরুদ্দেশ হবে কেন? তাদের পরিবার আজ হাহাকার করছে কেন? তাদের আত্মচিৎকার-বুক ফাটা কান্না আমাদের শুনতে হচ্ছে কেন? এজন্য সম্পূর্ণ দায় শেখ হাসিনা নিতে হবে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যেনো টু-শব্দ করতে না পারে সে জন্য শেখ হাসিনা এক ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি করেছে।
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে একেবারে শেখ হাসিনার খাস মানসিক সন্তান। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গোটা দেশটাকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল বানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে বসিয়েছেন। তারা এখন তারই (হাসিনা) প্রতিনিধিত্ব করছেন।
তিনি আরও বলেন,তলোয়ার নিয়ে আসলে রাইফেল নিয়ে নামবেন এই কথাটা কেন আসবে? আপনিতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে মানুষের ভোটার অধিকার প্রয়োগে পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। যতটুক ক্ষমতা আছে তাতে এতটুক। আপনিতো এটা করবেন না। যেদিন আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকে সারা দেশের মানুষ জানে আপনি প্রধানমন্ত্রীর নীল নকশা বাস্তবায়ন করবেন।