প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২:৫১:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় সাংস্কৃতিক চর্চা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালনা নীতিমালা-২০২০’র খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। নীতিমালা অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে দেশের সরকারি-বেসরকারি ২০ হাজারের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে সরকার। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে সংগীত চর্চা করানো হবে শিক্ষার্থীদের।
সূত্র জানায়, এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতি বছর হবে প্রতিযোগিতা। এ নীতিমালায় এ কার্যক্রমের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সাংস্কৃতিক চর্চা বলতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতির সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড বোঝাবে। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের সংগীত চর্চা বিশেষ করে দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিক সংগীতসহ বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজ সংগীতসমূহ রয়েছে।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা চাই তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চাটা হোক। সংস্কৃতি চর্চা শিশুদের মনন গঠনে ভূমিকা রাখবে। তারা সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে, অপসংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকতে পারে। কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চা চলমান আছে, বরাদ্দও দিচ্ছি। এ কার্যক্রম সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। নীতিমালা করলে সে অনুযায়ী কাজ চলবে।’ এ নীতিমালা দ্রুত চূড়ান্ত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংস্কৃতিমনষ্ক করে গড়ে তুলতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘সাংস্কৃতিক চর্চা’ কার্যক্রম পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ১৮টি জেলায় ১০টি করে ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরুও করা হয়।
এর অংশ হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়কে হারমোনিয়াম ও তবলা কেনার জন্য অর্থ মঞ্জুরি দেয়া হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষক ও তবলা সঙ্গতকারীকে নির্ধারিত হারে সম্মানীও দেয়া হয়। যে সব বিদ্যালয় এর আওতায় রয়েছে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্থানীয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সাংস্কৃতিক চর্চার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে এতে উল্লেখ করা হয়।