প্রতিনিধি ২৬ অক্টোবর ২০২০ , ৪:২৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দুর্গাপুর-চিকনি গ্রামের মানুষের পারা পারের ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো। সাম্প্রতিক বৃষ্টি আর বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা পারাপারে নিজেদের অর্থে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেছে গ্রামবাসী। তবে এই সাঁকো তৈরীতে মূল ভূমিকা রেখেছে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বেশ কয়েক দিন ধরে পানি বেয়ে পারাপারের পর শনিবার ওই স্থানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে গ্রামবাসী।
জানা যায় সাম্প্রতিক সময়ের অতিবৃষ্টি আর বন্যায় সাদুল্যাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর-চিকনীর বিল গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একটি ব্রিজ থাকলেও, বন্যা চলাকালীন সময়ে সেটি দিয়ে পানি প্রবাহে বাঁধাগ্রস্ত হয়। যার কারণে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রিজটির পাশে প্রায় ৩০ ফুট সড়ক ভেঙে যায়। এতে জেলা ও উপজেলা শহরের সঙ্গে দুর্গাপুর-চিকনি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতাবস্থায় ভেঙে যাওয়া রাস্তার ওই স্থানটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটির সংস্কারের কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে ভুক্তভোগি গ্রামবাসী অভিযোগ করেন।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা রাসেল মণ্ডল বলেন, এবারের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গাপুর-চিকনী বিল নামক স্থানে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও ভেঙে যাওয়া এই রাস্তা মেরামতের সরকারীভাবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে এই উদ্যোগ সারা দেয় গ্রামবাসী। ফলে গ্রামবাসীর অর্থায়নে ভাঙনস্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। দুর্গাপুর কাদেরিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোসলেম আলী বলেন ওই স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এলাকার মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলো। দায়িত্বশীলদের হেয়ালিপনা থাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সাঁকো তৈরি করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী এ.এইচ.এম কামরুল হাসান রনী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। সরকারীভাবে বরাদ্দ পেলেই অতিদ্রæতই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন রাস্তার মেরামত কাজ শুরু করা হবে। সেই সময়ে দুর্গাপুর-চিকনি গ্রামের ওই স্থানটিও সংস্কার করা হবে।